ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্ধারিত সময় শেষ: মতিঝিল পার্ক নির্মাণের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / 115

নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও এখনও শেষ হয়নি মতিঝিল পার্কের নির্মাণকাজ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে একাধিকবার পার্কের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় কাজের ধীরগতি হয়েছে।

মতিঝিল এলাকায় অফিসগামী মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে সেই বিবেচনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে এখানে একটি মনোরম পার্ক তৈরির জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসে এক বছর মেয়াদি প্রকল্প গৃহীত হয়। পরে নভেম্বরে পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, ৮ জন শ্রমিক পার্কের ভেতরে ঘর ও সিঁড়ির কাজ করছেন। পুরো পার্কের কাজ তেমন দৃশ্যমান হয়নি, উত্তর পাশের ঢালাই শেষ করে মাত্র পিলারের কাজ ধরা হয়েছে। দক্ষিণ পাশের নয়নাভিরাম পানির ফোয়ারার কাজে এখনও হাত দেয়া হয়নি। পার্কের কাজের বিষয়ে শ্রমিকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন লোক কাজ করি। কাজ দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে তারা বলেন, কন্ট্রাক্টরের কাছে যে মাল চাই তা দিতে দুই-তিন দিন দেরি হয়। আমরা যে জিনিস দিয়ে কাজ করি সেটা যদি সঠিক সময়ে না পাই তাহলে কাজ করব কিভাবে? তারা আরও বলেন, এই যে দেখেন এ ওয়াল ঢালাই করব। এখানে দুই সাইড স্টিলের বোর্ড লাগবে। আমাদের কাছে আছে এক সাইডের বোর্ড। অন্য জায়গার বোর্ড এনে এখানে কাজ করতে হবে। এভাবে দেরি হয়। এখন যে গতিতে কাজ হচ্ছে এভাবে কাজ করলে আরও ৬ মাস লাগবে। আর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে ৩ মাসের মধ্যে শেষ হবে।

প্রকল্পের কাজের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, কাজের ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ডিজাইন সমস্যা ও পুলিশ বক্স খালি না করায় কাজ দেরি হচ্ছে। এ বক্সের কারণে পানির ফোয়ারা কাজটা ধরতে পারিনি। পাশে পুলিশ বক্স করে দিচ্ছি। এ কাজ শেষ হলে পুলিশ বক্সের জায়গা ছাড়বে, তখন আমরা কাজ করতে পারব। এখন যেভাবে কাজ চলছে তাতে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।

ব্যাংক কর্মকর্তা শাহপরান বলেন, এখানে একটা পার্ক হচ্ছে। তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করলে আমরা বসার স্থান পাব।

প্রায় দেড় বিঘা জায়গার ওপর ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মতিঝিল পার্ক। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও আদমজী কোর্ট ভবনের মাঝখানে অবস্থিত মতিঝিলের এ পার্কটিতে থাকবে সাধারণ জনগণের জন্য একটি আধুনিক টয়লেট, ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীদের হাজিরা ঘর, পার্কের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য ওভারপাস, একটি নয়নাভিরাম পানির ফোয়ারা ও একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ কেন শেষ হয়নি এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলী-টি রহমানের (জেভি) একাংশের ব্যবসায়ী অংশীদার খায়ের উদ্দিন জুয়েল বলেন, পুলিশ বক্স না সরানোয় আমাদের কাজের সমস্যা হয়েছে। তাদের সঙ্গে এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেকবার কথা হয়েছে। এ পুলিশ বক্সের কারণে ডিজাইন পর্যন্ত চারবার পরিবর্তন হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নভেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। ঈদের আগে পর্যাপ্ত শ্রমিক কাজ করছিল। ঈদের ছুটিতে যারা বাড়িতে গিয়েছে, তারা এখনও আসেনি। তারা এলে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়বে। ডিএসসিসির প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামানকে একাধিকবার মোবাইলে কল ও এসএমএস দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :

শেয়ার করুন

নির্ধারিত সময় শেষ: মতিঝিল পার্ক নির্মাণের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ

আপডেট টাইম : ১২:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও এখনও শেষ হয়নি মতিঝিল পার্কের নির্মাণকাজ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে একাধিকবার পার্কের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় কাজের ধীরগতি হয়েছে।

মতিঝিল এলাকায় অফিসগামী মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে সেই বিবেচনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে এখানে একটি মনোরম পার্ক তৈরির জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসে এক বছর মেয়াদি প্রকল্প গৃহীত হয়। পরে নভেম্বরে পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, ৮ জন শ্রমিক পার্কের ভেতরে ঘর ও সিঁড়ির কাজ করছেন। পুরো পার্কের কাজ তেমন দৃশ্যমান হয়নি, উত্তর পাশের ঢালাই শেষ করে মাত্র পিলারের কাজ ধরা হয়েছে। দক্ষিণ পাশের নয়নাভিরাম পানির ফোয়ারার কাজে এখনও হাত দেয়া হয়নি। পার্কের কাজের বিষয়ে শ্রমিকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন লোক কাজ করি। কাজ দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে তারা বলেন, কন্ট্রাক্টরের কাছে যে মাল চাই তা দিতে দুই-তিন দিন দেরি হয়। আমরা যে জিনিস দিয়ে কাজ করি সেটা যদি সঠিক সময়ে না পাই তাহলে কাজ করব কিভাবে? তারা আরও বলেন, এই যে দেখেন এ ওয়াল ঢালাই করব। এখানে দুই সাইড স্টিলের বোর্ড লাগবে। আমাদের কাছে আছে এক সাইডের বোর্ড। অন্য জায়গার বোর্ড এনে এখানে কাজ করতে হবে। এভাবে দেরি হয়। এখন যে গতিতে কাজ হচ্ছে এভাবে কাজ করলে আরও ৬ মাস লাগবে। আর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে ৩ মাসের মধ্যে শেষ হবে।

প্রকল্পের কাজের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, কাজের ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ডিজাইন সমস্যা ও পুলিশ বক্স খালি না করায় কাজ দেরি হচ্ছে। এ বক্সের কারণে পানির ফোয়ারা কাজটা ধরতে পারিনি। পাশে পুলিশ বক্স করে দিচ্ছি। এ কাজ শেষ হলে পুলিশ বক্সের জায়গা ছাড়বে, তখন আমরা কাজ করতে পারব। এখন যেভাবে কাজ চলছে তাতে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।

ব্যাংক কর্মকর্তা শাহপরান বলেন, এখানে একটা পার্ক হচ্ছে। তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করলে আমরা বসার স্থান পাব।

প্রায় দেড় বিঘা জায়গার ওপর ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মতিঝিল পার্ক। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও আদমজী কোর্ট ভবনের মাঝখানে অবস্থিত মতিঝিলের এ পার্কটিতে থাকবে সাধারণ জনগণের জন্য একটি আধুনিক টয়লেট, ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীদের হাজিরা ঘর, পার্কের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য ওভারপাস, একটি নয়নাভিরাম পানির ফোয়ারা ও একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ কেন শেষ হয়নি এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলী-টি রহমানের (জেভি) একাংশের ব্যবসায়ী অংশীদার খায়ের উদ্দিন জুয়েল বলেন, পুলিশ বক্স না সরানোয় আমাদের কাজের সমস্যা হয়েছে। তাদের সঙ্গে এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেকবার কথা হয়েছে। এ পুলিশ বক্সের কারণে ডিজাইন পর্যন্ত চারবার পরিবর্তন হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নভেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। ঈদের আগে পর্যাপ্ত শ্রমিক কাজ করছিল। ঈদের ছুটিতে যারা বাড়িতে গিয়েছে, তারা এখনও আসেনি। তারা এলে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়বে। ডিএসসিসির প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামানকে একাধিকবার মোবাইলে কল ও এসএমএস দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।