‘প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নে ডিএসসিসিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলবো’
- আপডেট টাইম : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / 87
৭১: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মর্যাদাশীল সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন আমার লক্ষ্য থাকবে, ‘জাতির পিতার সেই স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নে আমি ডিএসসিসিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মর্যাদাশীল সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা’।
আজ দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ডিএসসিসি’র আওতাধীন সকল কর কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, ট্রেড লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার, বাজার সুপারভাইজার, রাজস্ব সহকারিসহ রাজস্ব বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
আজ আপনারা জনবল সংকটসহ অনেক সমস্যার কথা বলেছেন, অনেক সংকটের কথা বলেছেন। আমি খুব খুশি হতাম, যদি আপনারা বলতেন, ডিএসসিসি’র মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে আপনারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করবেন। আপনাদের কর্মক্ষেত্র তথা আপনাদের প্রেসার সম্মান ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাবেন। আপনারা কেউ সেটা বলেননি। আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে, প্রতিকূলতা বিহীন কোন যাত্রা পথ নেই। সেটা যেমন জীবন সংগ্রামে আছে, তেমনি সকল যাত্রাপথেই সে প্রতিকূলতা থাকবে। কিন্তু সে প্রতিকূলতার কারণে কেউ কোন কিছু অর্জন করতে চেয়ে তা পারেনি, সেরকম নজির নেই। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই অর্জন হয়ে থাকে। তাই, আগে কিভাবে চলছে, আমি সেদিকে ফিরে যেতে চাই না। কিন্তু আমার সংস্থায় আমি ভিক্ষা করে চলতে চাই না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দেওয়ার পরে সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থাতেই বলেছিলেন, আমি ভিক্ষুকের জাতি চাই না। আমি চাই বাংলাদেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হোক। আমার লক্ষ্য থাকবে, জাতির পিতার সেই স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নে আমি ডিএসসিসি কে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মর্যাদাশীল সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের সুবিধার্থে ও রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করার লক্ষে পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা ও সংকটের যথাযথ সমাধান করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, দুষ্টের দমন সৃষ্টের লালন অব্যাহত থাকবে। যারা ভালো কাজ করবেন, যারা আন্তরিকতা-নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা তাদেরকে অবশ্যই মুল্যায়ন করবো। আর যারা দুর্নীতিগ্রস্থ থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদেরকে অপসারণ করা হতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এ ব্যাপারে কোনো রকম ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন তো নেই, এ ব্যাপারে কোনো অলসতাও বরদাস্ত করা হবে না।
রাজস্ব আদায় তদারকির লক্ষ্যে প্রতি তিন মাস অন্তর সকল কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে পর্যালোচনা সভা করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় আরও বলেন, এখন থেকে সকল উপ-কর কর্মকর্তারা প্রতিদিন কর কর্মকর্তাদের নিকট দৈনন্দিন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবেন। কে কোথায় কি কাজ করেছে? কত আদায় হয়েছে, আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু অর্জিত হয়েছে ও কতটুকু হয়নি? এসকল তথ্যাদি প্রতিবেদনে থাকতে হবে। এরপর সকল কর কর্মকর্তারা সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট তাদের কাজের পরিপূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করবেন। কাজ করতে গিয়ে কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাদেরকে অবহিত করবেন। আমরা চেষ্টা করব তার তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে।
রাজস্ব আদায়ের চিত্র পরখ করে দেখতে যে কোনো সময় যে কোনো বাড়ি, স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যেতে পারেন জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র সতর্ক করে বলেন, কোথাও গিয়ে কারো বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে, সে সময় কোন অজুহাত চলবে না। তখন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরুফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি’র নবনিযুক্ত প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক সংস্থা। এই সংস্থাকে জনবান্ধব সংস্থায় পরিণত করতে আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে, আমরা এই অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারব বলেই বিশ্বাস করি।
মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।