ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে আতিকুলের হুঁশিয়ারি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০
  • / 99

৭১: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলেই তা সঙ্গে সঙ্গে নিলামে বিক্রি করা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা এ অভিযান শুরু করবো।’

রোববার (৩০ আগস্ট) সকালে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে ডিএনসিসির বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, সড়ক মেরামত, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ, অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড অপসারণসহ বিভিন্ন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে শুরু হয় পরিদর্শন। এরপর মিরপুর, কচুক্ষেত, মগবাজার, গুলশান হয়ে বনানীতে গিয়ে শেষ হয়।

পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আতিকুল প্রথমে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে যান। সেখানে একটি বাড়ির সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে নির্মাণসামগ্রী রাখায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থানার পাশে ডাম্পিং করে রাখা গাড়িতে জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

সেখান থেকে উত্তরার খিজির খাল পরিদর্শন শেষে সকাল ৮টায় মিরপুরের কালশী খাল এবং আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন। কালশী এলাকার আশেপাশের গলিতে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

কালশীতে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এরপর পরিদর্শনে বের হলে সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাক, লোডার, বুল্ডোজার ইত্যাদি থাকবে। সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে নিলামে বিক্রি করা হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারা দেখেছেন সুন্দর ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে তা নষ্ট করছে। এই শহরে এসব বরদাশত করা হবে না। ১ অক্টোবর থেকে আমরা ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্বের আওতা বাড়ানোর জন্য চিরুনি অভিযানও শুরু হবে বলে জানান মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যারা ট্যাক্সের আওতায় আসেননি, তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবো। আমরা আজ শুরু করলাম, এটি চলমান থাকবে।

Tag :

শেয়ার করুন

অবৈধ ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে আতিকুলের হুঁশিয়ারি

আপডেট টাইম : ০৩:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

৭১: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলেই তা সঙ্গে সঙ্গে নিলামে বিক্রি করা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা এ অভিযান শুরু করবো।’

রোববার (৩০ আগস্ট) সকালে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে ডিএনসিসির বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, সড়ক মেরামত, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ, অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড অপসারণসহ বিভিন্ন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে শুরু হয় পরিদর্শন। এরপর মিরপুর, কচুক্ষেত, মগবাজার, গুলশান হয়ে বনানীতে গিয়ে শেষ হয়।

পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আতিকুল প্রথমে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে যান। সেখানে একটি বাড়ির সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে নির্মাণসামগ্রী রাখায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থানার পাশে ডাম্পিং করে রাখা গাড়িতে জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

সেখান থেকে উত্তরার খিজির খাল পরিদর্শন শেষে সকাল ৮টায় মিরপুরের কালশী খাল এবং আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন। কালশী এলাকার আশেপাশের গলিতে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

কালশীতে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এরপর পরিদর্শনে বের হলে সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাক, লোডার, বুল্ডোজার ইত্যাদি থাকবে। সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে নিলামে বিক্রি করা হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারা দেখেছেন সুন্দর ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে তা নষ্ট করছে। এই শহরে এসব বরদাশত করা হবে না। ১ অক্টোবর থেকে আমরা ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্বের আওতা বাড়ানোর জন্য চিরুনি অভিযানও শুরু হবে বলে জানান মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যারা ট্যাক্সের আওতায় আসেননি, তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবো। আমরা আজ শুরু করলাম, এটি চলমান থাকবে।