বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে কূটনীতিকদের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট টাইম : ০৪:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
- / 109
৭১: সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফেরাতে বিদেশি কূটনীতিকদের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রোববার (১৬ আগস্ট) বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সহায়তা চান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাঁচজন খুনি এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দু’জনের অবস্থান জানতে পেরেছে। বাকি তিনজনের অবস্থান এখনও জানা যায়নি। এসব খুনিদের অবস্থান নির্ণয় ও দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য সব বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
ড. মোমেন বলেন, সরকার ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর বিচারের রায় কার্য়কর করতে চায়। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এসব খুনিদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বঙ্গন্ধুর খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করে। অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এসময় স্বাধীনতার পটভূমি ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত করতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ ভার্চুয়াল সভায় ঢাকায় কর্মরত এবং দিল্লিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮৩ জন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত অংশগ্রহণ করেন। এসময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সংযুক্ত ছিলেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সূচনা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের বুলেটের নির্মম আঘাতে শহীদ হন। জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।