সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান: মদ ও অস্ত্র উদ্ধার
- আপডেট টাইম : ০৪:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
- / 93
৭১: করোনাভাইরাস পরীক্ষায় প্রতারণার মামলায় বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬২ নম্বর বাসার সামনে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিদেশি মদ, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার গভীর রাতে ডিবি সদস্যরা সাহেদকে নিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬২ নম্বর বাসার সামনে অভিযান চালায়। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকার ছিল। সেই প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ১০ বোতল বিদেশি মদ, একটি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় রাতেই সাহেদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা হয়েছে, যার নম্বর ১৪ ও ১৫।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারের পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সাহেদকে ঢাকায় আনার পর উত্তরায় সাহেদের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব । সেখানে থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ১৪ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রসঙ্গত সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়।
অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।
৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে।
অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব, হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব, হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্পপ্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।
এসব আসামির মধ্যে সাতজনকে ইতিমধ্যে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।