ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল’

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • / 100

৭১: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের এই দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল। সেকারণে ১৬ জুলাই শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও বন্দি দিবস।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণা, যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবহমান, যার কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হয় এবং সংকটে-সংগ্রামে যিনি অবিচল-অনির্বাণ, আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এইদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, “পিতার অপরাধে নাবালিকা কন্যাকে গ্রেপ্তার, স্বামীর অপরাধে অসুস্থ স্ত্রীকে গ্রেফতার – তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ ধরণের কাজগুলোর যখন কেউ প্রতিবাদ করছিল না, আমাদের আপোষহীন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে কণ্ঠরোধ করার জন্য, গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্যই সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ”

কিন্তু সেদিন যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা অনুভব করতে বাধ্য হয়েছে যে, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়েও বন্দি শেখ হাসিনা অনেক বেশি শক্তিশালী উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ সেদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে তারা বাধ্য হয়েছিল। শেখ হাসিনার মুক্তিলাভের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ধস নামানো বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিল।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১১ বছর ধরে বাংলাদেশকে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।

তাঁর নেতৃত্বে গত সাড়ে ১১ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যোগ করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর সামনে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদ্যম গতিতে এগিয়ে চলছে, তাঁর এ নেতৃত্বের জন্য বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, পৃথিবীর বরেণ্য নেতৃবৃন্দ যখন প্রশংসা করছে, তখনও এক-এগারোর কুশীলবরা ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টায় লিপ্ত।

ড. হাছান বলেন, যখনই দেশে কোনো বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমরা দেখতে পাই তারা দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়, আবার ছোবল মারার অপচেষ্টা চালায়। তাদের গতিবিধির ওপর সরকারের নজর আছে, সেইসাথে আমাদের দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে যারা গণতন্ত্রের অব্যাহত অভিযাত্রায় বিশ্বাস করে, তাদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাই।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, “এই করোনা সংকটের মধ্যে মানুষকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিয়ে, জনমানুষের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করে অর্থনীতিকে এই সংকটের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের জিডিপি’র ৩.৬ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এবং যে নেতৃত্বের প্রশংসায় আজকে ওয়ার্ল্ড ইকোনিক ফোরাম, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, পৃথিবীর বরেণ্য নাম করা বহুল প্রচারিত পত্রিকাগুলো যখন পঞ্চমুখ, তখন শেখ হাসিনাকে আজকের এই দিনে আমি অভিবাদন জানাই।”

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ শুধু গণতন্ত্রের মানসকন্যা এবং গণতন্ত্রের মুক্তির প্রতীকই নন, শেখ হাসিনা আজ উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, তাঁকে লাল সালাম।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বাধীন সরকার ছিল, তাদের সীমাহীন দুর্নীতি, দু:শাসন, একইসাথে জঙ্গিবাদের উত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছিল। তারা বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল।

সেদিন বিএনপি-জামাত জোটের পৃষ্ঠপোষকতায় আদালতে ও পথচারীদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। একইসাথে হাওয়া ভবন তৈরি করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করে এবং সমস্ত ব্যবসায় টোল বসিয়ে চাঁদাবাজিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে এবং খোয়াব ভবন তৈরি করে সেখানে আমোদ-ফুর্তির ব্যবস্থা করে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল।

তিনি বলেন,‘ জনগণ স্বভাবতই আশা করেছিল তাদের বিদায়ের পর যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখতে পেলাম, যারা দুর্নীতি-দু:শাসনের মাধ্যমে দেশকে নরকে রূপান্তরিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বন্দি করা হয়েছিল।’

সরকারি কর্মচারিরা রিজেন্ট ও জেকেজি’র ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে থাকলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কাছ থেকে কেউ যদি ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে থাকে বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুয়া সার্টিফিকেটধারীদের কখনো সরকার প্রণোদনা দেবে না।

তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনা হবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক জিয়া শাস্তি প্রাপ্ত আসামী। তার একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। আরেকটি মামলায় ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে যেহেতু আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই, সেজন্য আলোপ আলোচনা চলছে।

তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি মনে করি সে যদি রাজনীতিবিদ হয়, তারই উচিত ছিল আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করা। সত্যিকারের রাজনীতিবিদ কখনো আইন-আদালতকে ভয় পায় না। সত্যিকারের রাজনীতিবিদ নয় বিধায়, তারা আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে চলে গিয়েছিল।”

Tag :

শেয়ার করুন

‘প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল’

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

৭১: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের এই দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল। সেকারণে ১৬ জুলাই শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও বন্দি দিবস।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণা, যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবহমান, যার কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হয় এবং সংকটে-সংগ্রামে যিনি অবিচল-অনির্বাণ, আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এইদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, “পিতার অপরাধে নাবালিকা কন্যাকে গ্রেপ্তার, স্বামীর অপরাধে অসুস্থ স্ত্রীকে গ্রেফতার – তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ ধরণের কাজগুলোর যখন কেউ প্রতিবাদ করছিল না, আমাদের আপোষহীন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে কণ্ঠরোধ করার জন্য, গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্যই সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ”

কিন্তু সেদিন যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা অনুভব করতে বাধ্য হয়েছে যে, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়েও বন্দি শেখ হাসিনা অনেক বেশি শক্তিশালী উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ সেদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে তারা বাধ্য হয়েছিল। শেখ হাসিনার মুক্তিলাভের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ধস নামানো বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিল।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১১ বছর ধরে বাংলাদেশকে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।

তাঁর নেতৃত্বে গত সাড়ে ১১ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যোগ করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর সামনে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদ্যম গতিতে এগিয়ে চলছে, তাঁর এ নেতৃত্বের জন্য বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, পৃথিবীর বরেণ্য নেতৃবৃন্দ যখন প্রশংসা করছে, তখনও এক-এগারোর কুশীলবরা ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টায় লিপ্ত।

ড. হাছান বলেন, যখনই দেশে কোনো বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমরা দেখতে পাই তারা দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়, আবার ছোবল মারার অপচেষ্টা চালায়। তাদের গতিবিধির ওপর সরকারের নজর আছে, সেইসাথে আমাদের দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে যারা গণতন্ত্রের অব্যাহত অভিযাত্রায় বিশ্বাস করে, তাদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাই।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, “এই করোনা সংকটের মধ্যে মানুষকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিয়ে, জনমানুষের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করে অর্থনীতিকে এই সংকটের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের জিডিপি’র ৩.৬ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এবং যে নেতৃত্বের প্রশংসায় আজকে ওয়ার্ল্ড ইকোনিক ফোরাম, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, পৃথিবীর বরেণ্য নাম করা বহুল প্রচারিত পত্রিকাগুলো যখন পঞ্চমুখ, তখন শেখ হাসিনাকে আজকের এই দিনে আমি অভিবাদন জানাই।”

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ শুধু গণতন্ত্রের মানসকন্যা এবং গণতন্ত্রের মুক্তির প্রতীকই নন, শেখ হাসিনা আজ উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, তাঁকে লাল সালাম।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বাধীন সরকার ছিল, তাদের সীমাহীন দুর্নীতি, দু:শাসন, একইসাথে জঙ্গিবাদের উত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছিল। তারা বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল।

সেদিন বিএনপি-জামাত জোটের পৃষ্ঠপোষকতায় আদালতে ও পথচারীদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। একইসাথে হাওয়া ভবন তৈরি করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করে এবং সমস্ত ব্যবসায় টোল বসিয়ে চাঁদাবাজিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে এবং খোয়াব ভবন তৈরি করে সেখানে আমোদ-ফুর্তির ব্যবস্থা করে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল।

তিনি বলেন,‘ জনগণ স্বভাবতই আশা করেছিল তাদের বিদায়ের পর যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখতে পেলাম, যারা দুর্নীতি-দু:শাসনের মাধ্যমে দেশকে নরকে রূপান্তরিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বন্দি করা হয়েছিল।’

সরকারি কর্মচারিরা রিজেন্ট ও জেকেজি’র ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে থাকলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কাছ থেকে কেউ যদি ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে থাকে বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুয়া সার্টিফিকেটধারীদের কখনো সরকার প্রণোদনা দেবে না।

তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনা হবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক জিয়া শাস্তি প্রাপ্ত আসামী। তার একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। আরেকটি মামলায় ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে যেহেতু আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই, সেজন্য আলোপ আলোচনা চলছে।

তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি মনে করি সে যদি রাজনীতিবিদ হয়, তারই উচিত ছিল আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করা। সত্যিকারের রাজনীতিবিদ কখনো আইন-আদালতকে ভয় পায় না। সত্যিকারের রাজনীতিবিদ নয় বিধায়, তারা আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে চলে গিয়েছিল।”