ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাস বিস্ফোরণ, মা-বাবার পর মারা গেল ছেলে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 15

গ্যাস বিস্ফোরণ, মা-বাবার পর মারা গেল ছেলে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ধানমন্ডিতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধের ঘটনায় মা বাবার পর মারা গেল সাড়ে ৩ বছরের ছেলে বায়েজিদও। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় বায়েজিদ।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, শ্বাসনালীসহ শিশুটির শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এর আগে ২ অক্টোবর রাতে মারা যায় শিশুটির মা নিপা আর ১ অক্টোবর রাতে বাবা টোটন মাহমুদ।

২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে শুক্রাবাদ ২৭ নম্বর রোডের বাজার মসজিদের পাশের গলির একটি বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন, কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়তের শ্রমিক টোটন (৩৫ ), তার স্ত্রী নিপা আক্তার (২৪) ও সাড়ে ৩ বছরের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ।

দগ্ধ নিপার মা রেহানা বেগম জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার কাচারীকান্দি গ্রামে। চলতি মাসের ১ তারিখেই শুক্রাবাদ বাজার মসজিদের পাশে একটি বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া উঠেছিলেন টোটন-নিপা দম্পতি। নিপার স্বামী টোটন কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তে কাজ করেন। আর নিপা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তিন সন্তানের জনকজননী তারা। তবে বড় দুই ছেলে-মেয়ে গ্রামে দাদা দাদির কাছে থাকে। ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ বাবা মায়ের সাথে ওই বাসায় থাকতো।

তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন ভোর পাঁচটার দিকে নিপা নিজেই ফোন দিয়ে তাকে জানান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে। তাদের শরীরও পুড়ে গেছে। তাদেরকে দ্রুত বাঁচানোর আকুতি জানান। এর বেশি আর কিছু বলতে পারেনি তখন। পরবর্তীতে ওই বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

গ্যাস বিস্ফোরণ, মা-বাবার পর মারা গেল ছেলে

আপডেট টাইম : ১২:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানী ধানমন্ডিতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধের ঘটনায় মা বাবার পর মারা গেল সাড়ে ৩ বছরের ছেলে বায়েজিদও। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় বায়েজিদ।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, শ্বাসনালীসহ শিশুটির শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এর আগে ২ অক্টোবর রাতে মারা যায় শিশুটির মা নিপা আর ১ অক্টোবর রাতে বাবা টোটন মাহমুদ।

২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে শুক্রাবাদ ২৭ নম্বর রোডের বাজার মসজিদের পাশের গলির একটি বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন, কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়তের শ্রমিক টোটন (৩৫ ), তার স্ত্রী নিপা আক্তার (২৪) ও সাড়ে ৩ বছরের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ।

দগ্ধ নিপার মা রেহানা বেগম জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার কাচারীকান্দি গ্রামে। চলতি মাসের ১ তারিখেই শুক্রাবাদ বাজার মসজিদের পাশে একটি বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া উঠেছিলেন টোটন-নিপা দম্পতি। নিপার স্বামী টোটন কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তে কাজ করেন। আর নিপা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তিন সন্তানের জনকজননী তারা। তবে বড় দুই ছেলে-মেয়ে গ্রামে দাদা দাদির কাছে থাকে। ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ বাবা মায়ের সাথে ওই বাসায় থাকতো।

তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন ভোর পাঁচটার দিকে নিপা নিজেই ফোন দিয়ে তাকে জানান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে। তাদের শরীরও পুড়ে গেছে। তাদেরকে দ্রুত বাঁচানোর আকুতি জানান। এর বেশি আর কিছু বলতে পারেনি তখন। পরবর্তীতে ওই বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।

নিউজ লাইট ৭১