ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কনস্টেবল পদে চাকরি করেই ‘কোটিপতি’

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
  • / 26

পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী হাসান। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন মেহেদী হাসান নামের এক পুলিশের কনস্টেবল। চাকরি পাওয়ার পরই শুরু হয় মেহেদীর পরিবর্তন। কয়েক বছরেই গ্রামে তুলেছেন পাকাবাড়ি, কিনেছেন ১৫ বিঘা ধানি জমি। ক্ষমতার দাপটও চোখে পড়ার মতো।

এছাড়া চাকরি পাওয়ার পর থেকে ক্ষমতার নানা অপব্যবহারও করে আসছেন মেহেদী। তিনি ২০০৬ সালে কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন পুলিশে। বর্তমানে আলোচিত মেহেদী হাসান নাটোর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করেই তার এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া নিয়ে কানাঘুষা চলে আসছে স্থানীয়দের মধ্যে। এরই মধ্যে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসানের নামে মোট ৯১ লাখ ২৪ হাজার ২৫৪ টাকার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। ঋণ রয়েছে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৭০ টাকার। এরই মধ্যে মেহেদীর জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক।

রাজশাহী বিভাগের দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৬২ লাখ টাকার তথ্য পেয়ে মেহেদী হাসানের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। এ তদন্ত বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, যে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান বলেন, অনিয়মের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

কনস্টেবল পদে চাকরি করেই ‘কোটিপতি’

আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

প্রায় কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন মেহেদী হাসান নামের এক পুলিশের কনস্টেবল। চাকরি পাওয়ার পরই শুরু হয় মেহেদীর পরিবর্তন। কয়েক বছরেই গ্রামে তুলেছেন পাকাবাড়ি, কিনেছেন ১৫ বিঘা ধানি জমি। ক্ষমতার দাপটও চোখে পড়ার মতো।

এছাড়া চাকরি পাওয়ার পর থেকে ক্ষমতার নানা অপব্যবহারও করে আসছেন মেহেদী। তিনি ২০০৬ সালে কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন পুলিশে। বর্তমানে আলোচিত মেহেদী হাসান নাটোর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করেই তার এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া নিয়ে কানাঘুষা চলে আসছে স্থানীয়দের মধ্যে। এরই মধ্যে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসানের নামে মোট ৯১ লাখ ২৪ হাজার ২৫৪ টাকার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। ঋণ রয়েছে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৭০ টাকার। এরই মধ্যে মেহেদীর জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক।

রাজশাহী বিভাগের দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৬২ লাখ টাকার তথ্য পেয়ে মেহেদী হাসানের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। এ তদন্ত বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, যে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান বলেন, অনিয়মের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১