ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / 34

প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরবেন পররাষ্ট্র সচিব। ছবি- সংগৃহীত

দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নয়াদিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আগের দিন বুধবার (২২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।

এ সময় দুই দেশের যৌথ পরামর্শক সভার পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক সম্পর্ক বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে ভারত যাচ্ছেন কি না— জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রসচিবের কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, আপনারা মেলাতে পারেন। সাধারণত গত এক বছরে আমাদের অগ্রগতি রয়েছে। সেগুলোর একটা টেকিং টকস এবং নির্বাচনের পরে বা আগামী বছরে আমরা কোন কোন জায়গায় আরও বেশি জোর দিতে পারি। যেন সময় নষ্ট না হয়, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। সেগুলো থাকতে পারে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমি মনে করি না— অপ্রয়োজনীয় অন্য কোনো হিডেন (লুকোনো) এজেন্ডা আছে। যেহেতু নির্বাচন সামনে, তাদের পক্ষ থেকে যদি কোনো কিছু জানার থাকে সেটা অবহিত করতে পারব। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী থেকে আলাদা কোনো বার্তা নিয়ে যাচ্ছি না। সেখানে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠকে রাজনৈতিক, প্রতিরক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে।

সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে কিন্তু ঢাকায় দূতাবাস নেই এমন দেশের সংখ্যা ৯০। এ সফরে সে সব দেশের দিল্লিতে থাকা মিশন প্রধানদের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে তাদের কাছে।

আলোচনায় আরও কি কি থাকতে পারে, তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, গ্লোবালের স্বার্থ সংরক্ষণে কীভাবে আমরা কাজ করতে পারি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে কীভাবে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা বাড়াতে পারি, সে বিষয়গুলো এখানে আলোচিত হবে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কি ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও তাদের আপডেট দেব। কারণ, আমরা সবসময় তাদের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি।

এজেন্ডায় শুরুতে রাজনীতির প্রসঙ্গ রাখেন মাসুদ বিন মোমেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওদের নির্বাচন আছে সামনে। আমাদের নির্বাচন আছে। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক, এটা তো খুবই বহুপাক্ষিক সম্পর্ক; ট্রেড আছে, বিনিয়োগ আছে, পিপল টু পিপল কন্টাক্ট আছে, ভিসা ইস্যু আছে— এগুলো যেন নির্বাচনের পরও স্মুথলি চলতে পারে।

চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারত ফরেন অফিস কনসাল্টেশন এফওসি। এতে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ভারতের পক্ষে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

যে কারণে দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নয়াদিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আগের দিন বুধবার (২২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।

এ সময় দুই দেশের যৌথ পরামর্শক সভার পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক সম্পর্ক বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে ভারত যাচ্ছেন কি না— জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রসচিবের কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, আপনারা মেলাতে পারেন। সাধারণত গত এক বছরে আমাদের অগ্রগতি রয়েছে। সেগুলোর একটা টেকিং টকস এবং নির্বাচনের পরে বা আগামী বছরে আমরা কোন কোন জায়গায় আরও বেশি জোর দিতে পারি। যেন সময় নষ্ট না হয়, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। সেগুলো থাকতে পারে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমি মনে করি না— অপ্রয়োজনীয় অন্য কোনো হিডেন (লুকোনো) এজেন্ডা আছে। যেহেতু নির্বাচন সামনে, তাদের পক্ষ থেকে যদি কোনো কিছু জানার থাকে সেটা অবহিত করতে পারব। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী থেকে আলাদা কোনো বার্তা নিয়ে যাচ্ছি না। সেখানে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠকে রাজনৈতিক, প্রতিরক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে।

সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে কিন্তু ঢাকায় দূতাবাস নেই এমন দেশের সংখ্যা ৯০। এ সফরে সে সব দেশের দিল্লিতে থাকা মিশন প্রধানদের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে তাদের কাছে।

আলোচনায় আরও কি কি থাকতে পারে, তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, গ্লোবালের স্বার্থ সংরক্ষণে কীভাবে আমরা কাজ করতে পারি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে কীভাবে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা বাড়াতে পারি, সে বিষয়গুলো এখানে আলোচিত হবে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কি ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও তাদের আপডেট দেব। কারণ, আমরা সবসময় তাদের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি।

এজেন্ডায় শুরুতে রাজনীতির প্রসঙ্গ রাখেন মাসুদ বিন মোমেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওদের নির্বাচন আছে সামনে। আমাদের নির্বাচন আছে। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক, এটা তো খুবই বহুপাক্ষিক সম্পর্ক; ট্রেড আছে, বিনিয়োগ আছে, পিপল টু পিপল কন্টাক্ট আছে, ভিসা ইস্যু আছে— এগুলো যেন নির্বাচনের পরও স্মুথলি চলতে পারে।

চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারত ফরেন অফিস কনসাল্টেশন এফওসি। এতে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ভারতের পক্ষে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা।

নিউজ লাইট ৭১