ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চড়া দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / 31

চড়া দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি। সংগৃহীত ছবি

শীতকালীন সবজিতে বাজার জমজমাট না হলেও আগাম বেশ কিছু সবজি এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত সবজি না আসায় দাম তুলনামূলক বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে। এই অবস্থায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।

শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরাসহ বেশি কিছু এলাকার বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, পটল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ (কেজি), পেঁপে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি।

এ ছাড়াও শসা ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা (ছোট), বাঁধাকপি ৩০ টাকা (ছোট) দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, শীতকালে বাজারে সাধারণত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পিঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে। তবে এ বছর টানা বৃষ্টির কারণে সবজি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে বাজারে সবজি তুলনামূলক কম। তাই, সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে শীতের সবজি।

ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শামীম হাসান। তিনি বলেন, শুক্রবার এলেই সবজি, মাছ-মাংসের দাম বেড়ে যায়। পরশু বাজার করে নিয়ে গেছি, ঢেঁড়স ছিল ৫০ টাকা, আজকে নাকি ৮০ টাকা। দুই দিনেই দেশে কী এমন হয়ে গেলো যে ৩০ টাকা দাম বেড়ে গেল? হয়তো এই দাম কিছু মানুষের জন্য কিছুই না, আমাদের মতো মধ্য-নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য অনেক কিছু।

৫০০ টাকা বাজারে নিয়ে গেলে ব্যাগ অর্ধেকও ভরে না, অথচ গত বছরখানেক আগেও এমন ছিল না বলেও জানান তিনি।

সবজিতে কিনতে আসা সাহানা আক্তার বলেন, আজকের বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি মনে হচ্ছে। মুলার কেজি ৮০ টাকা, যা সাধারণত ৩০/৪০ টাকার মধ্যেই থাকে। বাজারে সিম এসেছে অন্তত আরও ১৫-২০ আগে, অথচ দাম এখনো ২০০ টাকা কেজি। দাম জিজ্ঞেস করে চলে আসা ছাড়া আর কিছু করার আছে? বাজারে জিনিসপত্রের এতো দাম, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কেনার অবস্থা নেই।

তিনি আরও বলেন, যে সবজিরই দাম জিজ্ঞেস করি, ৭০/৮০ টাকার নিচে কিছুই নেই। বাজারে এলেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। মাছ-মাংস কেনার অবস্থা নেই। ভর্তা-ভাত, সবজি খেয়ে থাকবো সেটাও অবস্থা নেই।

এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে এলেও চাহিদা অনেক বেশি। দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে যা দেখে আমরাও অবাক। তার মানে চাহিদা অনুপাতে সবজির পরিমাণ কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এছাড়ও বাজারে সার কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। তাছাড়া মজুরির দামও বেড়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

চড়া দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি

আপডেট টাইম : ০৭:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

শীতকালীন সবজিতে বাজার জমজমাট না হলেও আগাম বেশ কিছু সবজি এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত সবজি না আসায় দাম তুলনামূলক বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে। এই অবস্থায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।

শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরাসহ বেশি কিছু এলাকার বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, পটল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ (কেজি), পেঁপে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি।

এ ছাড়াও শসা ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা (ছোট), বাঁধাকপি ৩০ টাকা (ছোট) দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, শীতকালে বাজারে সাধারণত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পিঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে। তবে এ বছর টানা বৃষ্টির কারণে সবজি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে বাজারে সবজি তুলনামূলক কম। তাই, সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে শীতের সবজি।

ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শামীম হাসান। তিনি বলেন, শুক্রবার এলেই সবজি, মাছ-মাংসের দাম বেড়ে যায়। পরশু বাজার করে নিয়ে গেছি, ঢেঁড়স ছিল ৫০ টাকা, আজকে নাকি ৮০ টাকা। দুই দিনেই দেশে কী এমন হয়ে গেলো যে ৩০ টাকা দাম বেড়ে গেল? হয়তো এই দাম কিছু মানুষের জন্য কিছুই না, আমাদের মতো মধ্য-নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য অনেক কিছু।

৫০০ টাকা বাজারে নিয়ে গেলে ব্যাগ অর্ধেকও ভরে না, অথচ গত বছরখানেক আগেও এমন ছিল না বলেও জানান তিনি।

সবজিতে কিনতে আসা সাহানা আক্তার বলেন, আজকের বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি মনে হচ্ছে। মুলার কেজি ৮০ টাকা, যা সাধারণত ৩০/৪০ টাকার মধ্যেই থাকে। বাজারে সিম এসেছে অন্তত আরও ১৫-২০ আগে, অথচ দাম এখনো ২০০ টাকা কেজি। দাম জিজ্ঞেস করে চলে আসা ছাড়া আর কিছু করার আছে? বাজারে জিনিসপত্রের এতো দাম, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কেনার অবস্থা নেই।

তিনি আরও বলেন, যে সবজিরই দাম জিজ্ঞেস করি, ৭০/৮০ টাকার নিচে কিছুই নেই। বাজারে এলেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। মাছ-মাংস কেনার অবস্থা নেই। ভর্তা-ভাত, সবজি খেয়ে থাকবো সেটাও অবস্থা নেই।

এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে এলেও চাহিদা অনেক বেশি। দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে যা দেখে আমরাও অবাক। তার মানে চাহিদা অনুপাতে সবজির পরিমাণ কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এছাড়ও বাজারে সার কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। তাছাড়া মজুরির দামও বেড়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা।

নিউজ লাইট ৭১