‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিশ্বে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল’
- আপডেট টাইম : ১১:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
- / 34
সংসদীয় কূটনীতি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে স্পিকার বলেছেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের অমীমাংসিত বিষয় ছাপিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সারাবিশ্বে প্রতিবেশী কূটনীতির এক রোল মডেল।
বৃহস্পতিবার সিলেটের গ্রান্ড হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ‘একাদশ বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশীপ ডায়ালগ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভারতীয় লোকসভার সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ভিনসেণ্ট পাল, স্বপন দাসগুপ্ত ও ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
স্পিকার বলেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের অমীমাংসিত বিষয় ছাপিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সারাবিশ্বে প্রতিবেশী কূটনীতির এক রোল মডেল।
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণ বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এক অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম দেশের উদাহরণ স্থাপন করেছে। দুই দেশের মধ্যকার শান্তি ও সমৃদ্ধি সংরক্ষণের মধ্যদিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয়।
ভারতীয় পার্লামেন্টে এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত নারী আসন বিল পাশের ঘটনাকে দুই দেশের সাদৃশ্যপূর্ণ সম্পর্কের নজির হিসেবে উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী আইনপ্রণেতাদের সম্পৃক্ততার মধ্যদিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে।
স্পিকার বলেন, জ্বালানি খাতে ভারতের সহযোগিতার পাশাপাশি নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে তৃতীয় সহযোগী দেশ হিসেবে ভারত সরকারের সহযোগিতা বাংলাদেশের জ্বালানি ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে দুই দেশের সরকারপ্রধান বরাবরই অবিচল লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে।
এ সময় প্রযুক্তির জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, ট্রানজিট ও ট্রান্সশীপমেন্টের জন্য মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতি কমাতে শুল্কমুক্ত পণ্যের অবাধ প্রবাহের উপর গুরুত্বারোপ করেন স্পিকার।
এর আগে স্পিকারকে বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে স্পিকার হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) এর মাজার শরীফ জিয়ারত করেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মৈত্রী সংলাপের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘একটি সমন্বিত এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক অংশীদারিত্ব’। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সৈয়দ মুনতাসীর মামুনের সঞ্চালনায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এএসএম শামছুল আরেফিন।
নিউজ লাইট ৭১