ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
  • / 24

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে এবং জননিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটলে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ৫ শতাধিক স্কুল, ভূমি অফিস, মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল।

বিএনপিকে ষড়যন্ত্র অপকৌশল থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চক্রান্ত করছে। তারা তথাকথিত আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার পাঁয়তারা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে, বিগত দিনগুলোতে নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে বিএনপির সন্ত্রাসী অপতৎপরতা তত বৃদ্ধি পাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বিএনপির রাজনীতির মূল হাতিয়ার হলো সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার নামে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিচার বিভাগকে দলীয় কার্যালয়ের আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিল। সেই বিএনপির মুখে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়াচ্ছে। মুখোশের আড়ালের মুখগুলোকে জনগণ ভালোভাবেই চেনে। তাই বিএনপির কোনো আহ্বানে জনগণ সাড়া দেয়নি এবং আগামীতেও তারা জনগণের কোনো সমর্থন পাবে না।

নিউজ লাইট ৭১

 

 

Tag :

শেয়ার করুন

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে এবং জননিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটলে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ৫ শতাধিক স্কুল, ভূমি অফিস, মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল।

বিএনপিকে ষড়যন্ত্র অপকৌশল থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চক্রান্ত করছে। তারা তথাকথিত আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার পাঁয়তারা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে, বিগত দিনগুলোতে নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে বিএনপির সন্ত্রাসী অপতৎপরতা তত বৃদ্ধি পাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বিএনপির রাজনীতির মূল হাতিয়ার হলো সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার নামে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিচার বিভাগকে দলীয় কার্যালয়ের আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিল। সেই বিএনপির মুখে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়াচ্ছে। মুখোশের আড়ালের মুখগুলোকে জনগণ ভালোভাবেই চেনে। তাই বিএনপির কোনো আহ্বানে জনগণ সাড়া দেয়নি এবং আগামীতেও তারা জনগণের কোনো সমর্থন পাবে না।

নিউজ লাইট ৭১