ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দায়িত্ববোধ থাকতে হবে জনগণের প্রতি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • / 24

বিমানবাহিনীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি : সংগৃহীত)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক দেশে যখন দুর্ঘটনা হয়, আমরা তাদের সহযোগিতা করি, আবার আমাদের দেশে যখন ঝড়, বন্যা বা দুর্ঘটনা ঘটে তখন বিমানবাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়, জনগণের সেবা করে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য জনগণের আস্থা-বিশ্বাস একান্তভাবে দরকার। তাছাড়া আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, এই নীতি আমরা বিশ্বাস করি। তারপরেও দক্ষতার দিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের সব ধরনের উৎকর্ষতা বজায় রেখে চলতে হবে, সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। দেশমাতৃকার প্রতি এবং দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। যেটা বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছেন, দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ, এটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে যশোরে অবস্থিত বিএএফ একাডেমিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার পরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব জাতির পিতা নিয়েছিলেন। যে দেশে কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না। কারেন্সি নোট ছিল না, রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। তাছাড়া একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং তার উপযুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তিনি অতি দ্রুততার সাথে করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্বাসন করে, পুনর্গঠন করে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, আমাদের কিছুই ছিল না। তারপরও আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিমান বাহিনীকে গড়ে তোলেন, খুবই সীমিত শক্তি নিয়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর অবদান রয়েছে। যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের বিমান বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এদেশে বার বার ক্যু হয়। বিমানবাহিনীর প্রায় ৬শ অফিসার, সৈনিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের পর থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত নানা ঘটনা এ দেশে ঘটে। ‘৯৬ সালে ২১ বছর পর আমরা সরকারে আসি, সরকারের এসে বিমানবাহিনীকে আবার নতুনভাবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিই। মিগ টুয়েন্টি নাইন প্রথম আমরা ক্রয় করে দেই। তাছাড়া যুদ্ধবিমান সিওয়ান থার্টিন, পরিবহন বিমান, উচ্চ ক্ষমতার এয়ার রাডারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে আবার বিমানবাহিনীকে নতুনভাবে গড়ে তুলি।

তিনি আরও বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের বিমান বাহিনী অত্যন্ত চমৎকার ভূমিকা পালন করছে। আমরা সত্যি সেই জন্য গর্বিত। জাতির পিতা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শুধু নয়, শান্তিরক্ষা মিশনে যারা কাজ করছে তারা যেন উচ্চজ্ঞান সম্পন্ন হয়, সেটাও আমার লক্ষ্য। সেদিকে লক্ষ্য করে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিমান, হেলিকপ্টার, রাডার, সরঞ্জাম ক্রয় করেছি। বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার আমরা করে দিয়েছি। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সব দিকে যেন আমাদের ছেলেরা পারদর্শী হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তার মতে, আজকের বিমানবাহিনী অবকাঠামো, রণকৌশল, প্রযুক্তির দিক থেকে আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী আধুনিক এবং চৌকস। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। কাজেই আমাদের প্রত্যেকটা বাহিনী প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হবে, সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

দায়িত্ববোধ থাকতে হবে জনগণের প্রতি

আপডেট টাইম : ০৯:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক দেশে যখন দুর্ঘটনা হয়, আমরা তাদের সহযোগিতা করি, আবার আমাদের দেশে যখন ঝড়, বন্যা বা দুর্ঘটনা ঘটে তখন বিমানবাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়, জনগণের সেবা করে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য জনগণের আস্থা-বিশ্বাস একান্তভাবে দরকার। তাছাড়া আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, এই নীতি আমরা বিশ্বাস করি। তারপরেও দক্ষতার দিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের সব ধরনের উৎকর্ষতা বজায় রেখে চলতে হবে, সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। দেশমাতৃকার প্রতি এবং দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। যেটা বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছেন, দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ, এটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে যশোরে অবস্থিত বিএএফ একাডেমিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার পরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব জাতির পিতা নিয়েছিলেন। যে দেশে কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না। কারেন্সি নোট ছিল না, রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। তাছাড়া একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং তার উপযুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তিনি অতি দ্রুততার সাথে করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্বাসন করে, পুনর্গঠন করে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, আমাদের কিছুই ছিল না। তারপরও আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিমান বাহিনীকে গড়ে তোলেন, খুবই সীমিত শক্তি নিয়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর অবদান রয়েছে। যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের বিমান বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এদেশে বার বার ক্যু হয়। বিমানবাহিনীর প্রায় ৬শ অফিসার, সৈনিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের পর থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত নানা ঘটনা এ দেশে ঘটে। ‘৯৬ সালে ২১ বছর পর আমরা সরকারে আসি, সরকারের এসে বিমানবাহিনীকে আবার নতুনভাবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিই। মিগ টুয়েন্টি নাইন প্রথম আমরা ক্রয় করে দেই। তাছাড়া যুদ্ধবিমান সিওয়ান থার্টিন, পরিবহন বিমান, উচ্চ ক্ষমতার এয়ার রাডারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে আবার বিমানবাহিনীকে নতুনভাবে গড়ে তুলি।

তিনি আরও বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের বিমান বাহিনী অত্যন্ত চমৎকার ভূমিকা পালন করছে। আমরা সত্যি সেই জন্য গর্বিত। জাতির পিতা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শুধু নয়, শান্তিরক্ষা মিশনে যারা কাজ করছে তারা যেন উচ্চজ্ঞান সম্পন্ন হয়, সেটাও আমার লক্ষ্য। সেদিকে লক্ষ্য করে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিমান, হেলিকপ্টার, রাডার, সরঞ্জাম ক্রয় করেছি। বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার আমরা করে দিয়েছি। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সব দিকে যেন আমাদের ছেলেরা পারদর্শী হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তার মতে, আজকের বিমানবাহিনী অবকাঠামো, রণকৌশল, প্রযুক্তির দিক থেকে আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী আধুনিক এবং চৌকস। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। কাজেই আমাদের প্রত্যেকটা বাহিনী প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হবে, সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button