জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় ডা. কাউসার গ্রেপ্তার
- আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
- / 29
কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা কাউসার (২৮) অপহৃত হননি। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, ডা. কাউসার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তার অধীনে বেশ কিছু জঙ্গি রয়েছে। আমরা আরো বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে চিহ্নিত করেছি, যারা জঙ্গি হিসাবে অত্যান্ত সক্রিয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ডা. কাউসারকে অজ্ঞাত লোকজন মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের অভিযোগ। কাউসার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক ও জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামের মির্জা আবদুল হাকিমের ছেলে।
কিশোরগঞ্জের খরমপট্টি এলাকায় সমবায় মার্কেটের দোতালায় মেডিক্স কোচিং সেন্টার পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে একদল লোক তাকে ডেকে নিয়ে যায় বলে পরিবার ও সহকর্মীদের ভাষ্য। এ বিষয়ে তারা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগও করেছিলেন।
কাউসারের বাবা আব্দুল হাকিম রোববার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কেন আমার ছেলেকে অপহরণ করতে পারে বুঝতে পারছি না। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে ছিল না। আমার জানামতে তার কোনো শত্রুও নেই।
মেডিক্স কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানিয়েছিলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ কয়েকজন লোক এসে ডা. মির্জা নূর কাউসারকে তাদের সাথে যেতে বলে। কয়েক মিনিট পর তাকে নিয়ে তারা নিচে নামে। তারা ডা. কাউসারকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত চলে যায়। তারপর থেকে কাউসারের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ ন ম নৌশাদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে তার কথা হয়েছে। কাউসারকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করার কথা তাকে জানানো হয়েছে।
নিউজ লাইট ৭১