ইউক্রেন থেকে গমের প্রথম চালান আজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছাবে। প্রায় ৫০ হাজার টন গমের চালানটি দুপুরে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে ৫০ হাজার টনের আরেকটি গমের চালান আগামী রবিবার দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে কয়েক বছর ধরে গমের উৎপাদন যথেষ্ট নয়। চলতি অর্থবছরে ১১ লাখ টন গম উৎপাদনের  লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবার সরকারিভাবে দেশের বাজার থেকে গম সংগ্রহের কার্যক্রমও আশানুরূপ নয়। এসব কারণে আমদানি করেই গমের চাহিদা পূরণ করছে সরকার। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) গমের চাহিদা পূরণে সরকারিভাবে (জিটুজি) প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানি করতে চুক্তি করা হয়েছে।

ইউক্রেন থেকে প্রতি টন গম আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে ৪০৬.৮৩ ডলার, যা চুক্তি করা অন্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্য দেশের তুলনায় প্রতি টনে প্রায় ৭০ ডলার কম দামে ইউক্রেন থেকে গম কিনছে বাংলাদেশ।

বুলগেরিয়া থেকে দুটি প্যাকেজে ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন গম এরই মধ্যে আমদানি করা হয়েছে।

রাশিয়া থেকে যে পাঁচ লাখ টন গম আমদানি করা হচ্ছে, তার মধ্যে প্রথম ধাপে প্রায় ৫২ হাজার টন এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ২৯ অক্টোবর আরো প্রায় ৫৫ হাজার টন গম চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। তৃতীয় ধাপে আরো প্রায় ৫০ হাজার টন গম আগামী রবিবার বন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর এ পর্যন্ত দুই লাখ সাত হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে আরো দুটি চালান দেশে এসে পৌঁছানোর পর বাজারে সরকারি গমের সরবরাহ ও মজুদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দানাদার খাদ্যশস্যের মজুত বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। সন্তোষজনক এই মজুদ ধরে রাখতে আমরা আমদানি বাড়াতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমদানি চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার থেকে সব গম দেশে এসে পৌঁছালে আমাদের মজুদ পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চার লাখ ১২ হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১