ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবরিনাসহ ৮ আসামি ১১ বছর করে কারাদণ্ড পেলেন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
  • / 30

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে সব আসামিকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সাবরিনা ও আরিফুল ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ড এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তাদের আদালতে তোলা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এমন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১২ জুলাই দুজনকেই গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

একই বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি আসামিদের প্রতারণা ও জালিয়াতির কাজে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২০ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের দিন ধার্য করা হয় মঙ্গলবার।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সাবরিনাসহ ৮ আসামি ১১ বছর করে কারাদণ্ড পেলেন

আপডেট টাইম : ০৩:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২

করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে সব আসামিকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সাবরিনা ও আরিফুল ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ড এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তাদের আদালতে তোলা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এমন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১২ জুলাই দুজনকেই গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

একই বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি আসামিদের প্রতারণা ও জালিয়াতির কাজে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২০ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের দিন ধার্য করা হয় মঙ্গলবার।

নিউজ লাইট ৭১