অধিকাংশ পণ্যের দামই বাড়তি
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
- / 24
নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যের দামই বাড়তি। বেড়েছে রসুনসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
রাজধানীর বাজারগুলোতে কয়েক দফা বেড়েছে রসুনের দাম। আমদানি করা এক কেজি রসুন এখন দুইশো টাকা। তবে রসুনের বাড়লেও কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
অন্যদিকে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে পাকা টমেটো ও গাজরের দাম। তবে বেগুন, বরবটি দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। আর আগের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ইলিশের দাম কিছুটা বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, যা তিন সপ্তাহ আগে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা তিন সপ্তাহ আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
রসুনের দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। যা এক সপ্তাহে আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম কমেছে আবার আমাদের দেশেও পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম এখন একটু কমতির দিকে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পাকা টমেটোর দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন এখন টমেটোর সিজন না। আগে মজুত করে রাখা কিছু টমেটো এখন পাওয়া যাচ্ছে। এর সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে দাম বাড়তি।
টমেটোর দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম কমে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরা বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা।
ঈদের আগে কেজি ৭০০ টাকা উঠে যাওয়া গরুর মাংসের দামেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা বিক্রি করছেন।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।
তবে ইলিশ মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৭০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
নিউজ লাইট ৭১