ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / 31

বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগে মুরাদুজ্জামান মুকুল নামের এক শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা কমিটি।

বিধি মোতাবেক গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পরিচালনা কমিটির সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে বিধি অনুযায়ী তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।

শুক্রবার বিকেলে জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রভাষক মুরাদুজ্জামান মুকুল উপজেলার জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক এবং শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট পৌর এলাকার দক্ষিণ অফিসারপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে মুরাদুজ্জামান স্বপরিবারে বসবাস করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাসা মালিকের মেয়েকে কৌশলে জড়িয়ে ধরে মুঠোফোনে ছবি তোলেন মুরাদ্দুজ্জামান। সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মুরাদুজ্জামান ৩ মার্চ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুরাদুজ্জামান একই কৌশলে ওই ছাত্রীকে আরো কয়েক দফা ধর্ষণ এবং মুঠোফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করেন।

এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ মে মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:৫২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগে মুরাদুজ্জামান মুকুল নামের এক শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা কমিটি।

বিধি মোতাবেক গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পরিচালনা কমিটির সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে বিধি অনুযায়ী তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।

শুক্রবার বিকেলে জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রভাষক মুরাদুজ্জামান মুকুল উপজেলার জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক এবং শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট পৌর এলাকার দক্ষিণ অফিসারপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে মুরাদুজ্জামান স্বপরিবারে বসবাস করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাসা মালিকের মেয়েকে কৌশলে জড়িয়ে ধরে মুঠোফোনে ছবি তোলেন মুরাদ্দুজ্জামান। সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মুরাদুজ্জামান ৩ মার্চ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুরাদুজ্জামান একই কৌশলে ওই ছাত্রীকে আরো কয়েক দফা ধর্ষণ এবং মুঠোফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করেন।

এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ মে মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

নিউজ লাইট ৭১