ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যুদ্ধে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • / 29

এসক্যাপ এর অধিবেশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী (ছবি: সংগৃহীত)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পটভূমিতে আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলা করতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৩ মে) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ৭৮তম অধিবেশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।

আজ থেকে আগামী ২৭ মে পর্যন্ত ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে এবং ‘এসক্যাপ’-এর ৭৫তম বার্ষিকীতে অনলাইনে এ অধিবেশন হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তার পরামর্শের ব্যাখ্যায় আঞ্চলিক সংকট ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নত করতে আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে আরও বাস্তবসম্মত উপায়ে স্নাতক দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থার অনুরোধ জানান।

শেখ হাসিনার প্রস্তাবগুলোতে তিনি জ্ঞান ও উদ্ভাবনের জন্য সহযোগিতার সুবিধার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলোতে পর্যাপ্ত তহবিল এবং প্রযুক্তি বরাদ্দের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত হয়ে সহায়তা করার জন্য পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী আরেকটি প্রস্তাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও তথ্যপ্রযুক্তি বৃদ্ধির জন্য আইসিটি’র প্রসারের কথা বলেন যা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় পরিষেবাগুলোকে সক্ষম করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব পুনরুদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে, তখন রুশ-ইউক্রেনীয় সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যুদ্ধে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে স্নাতক হওয়ার সুপারিশ করা হয়। এটি আমাদের পরিকল্পিত উন্নয়ন যাত্রার বৈশ্বিক স্বীকৃতি যা, বাংলাদেশ গত ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করছে।’

তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জনগণই আমাদের উন্নয়ন সাধনার কেন্দ্রবিন্দু, এসডিজিতেও তাই।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ নেতিবাচক বা নামমাত্র জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও মহামারিতে বাংলাদেশ একটি প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। ‘আমরা ২০২১-২২ সালে ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির আশা করছি।’ সরকার ইতোমধ্যে প্রায় সকল নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার আওতায় এনেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে এবং এই মানবিক সংকট নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। আমরা এই বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের শরনার্থীদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো আগ্রহ এবং সক্রিয় সমর্থন আশা করছি।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যুদ্ধে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৬:৪২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পটভূমিতে আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলা করতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৩ মে) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ৭৮তম অধিবেশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।

আজ থেকে আগামী ২৭ মে পর্যন্ত ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে এবং ‘এসক্যাপ’-এর ৭৫তম বার্ষিকীতে অনলাইনে এ অধিবেশন হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তার পরামর্শের ব্যাখ্যায় আঞ্চলিক সংকট ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নত করতে আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে আরও বাস্তবসম্মত উপায়ে স্নাতক দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থার অনুরোধ জানান।

শেখ হাসিনার প্রস্তাবগুলোতে তিনি জ্ঞান ও উদ্ভাবনের জন্য সহযোগিতার সুবিধার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলোতে পর্যাপ্ত তহবিল এবং প্রযুক্তি বরাদ্দের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত হয়ে সহায়তা করার জন্য পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী আরেকটি প্রস্তাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও তথ্যপ্রযুক্তি বৃদ্ধির জন্য আইসিটি’র প্রসারের কথা বলেন যা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় পরিষেবাগুলোকে সক্ষম করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব পুনরুদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে, তখন রুশ-ইউক্রেনীয় সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যুদ্ধে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে স্নাতক হওয়ার সুপারিশ করা হয়। এটি আমাদের পরিকল্পিত উন্নয়ন যাত্রার বৈশ্বিক স্বীকৃতি যা, বাংলাদেশ গত ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করছে।’

তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জনগণই আমাদের উন্নয়ন সাধনার কেন্দ্রবিন্দু, এসডিজিতেও তাই।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ নেতিবাচক বা নামমাত্র জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও মহামারিতে বাংলাদেশ একটি প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। ‘আমরা ২০২১-২২ সালে ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির আশা করছি।’ সরকার ইতোমধ্যে প্রায় সকল নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার আওতায় এনেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে এবং এই মানবিক সংকট নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। আমরা এই বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের শরনার্থীদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো আগ্রহ এবং সক্রিয় সমর্থন আশা করছি।

নিউজ লাইট ৭১