কমলো টাকার মান
- আপডেট টাইম : ০৫:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
- / 23
মার্কিন ডলারের বিপরীতে আবারও টাকার মান কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছিল। এরপর আরও ১০ পয়সা বাড়ানো হয়।
এতে রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে। এর আগে গত সোমবার ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছিল। এরপর আরও ১০ পয়সা বাড়ানো হয়।
অবশ্য আজও অনেক ব্যাংক ১০০ টাকা দরে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করছে ও রপ্তানি বিল নগদায়ন করছে। এতে আমদানিকারকদের বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বাজারের ডলারের তীব্র সংকট থাকায় অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে মুদ্রা বিনিময় হারের সুবিধা দিতে ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের চার মাসে কয়েক দফায় ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে।
গত জানুয়ারির শুরুতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ২৩ মার্চ ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল।
গত ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় ২৫ পয়সা। তাতে ১ ডলারের বিনিময়মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। ডলারের দাম বাড়ায় আলোচ্য হারে টাকার মান কেমেছে।
এক বছর আগে অর্থাৎ গত বছরের মে মাসে প্রতি ডলার আন্তঃব্যাংকে বিক্রি হয়েছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা দরে। ওই সময়ে ডলারের দাম বাড়ল এক টাকা ৯০ পয়সা।
করোনার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ায় আমদানি বেড়েছে। একই সঙ্গে আমদানি পণ্যের দামও বেড়েছে। সব মিলে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৪৭ শতাংশ, এলসি খোলা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া করোনার কারণে স্থগিত এলসির দেনা এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে।
এর সঙ্গে রয়েছে চলমান বৈদেশিক ঋণের কিস্তির পাশাপাশি করোনার সময়কার স্থগিত কিস্তি। সব মিলে বাজারে ডলারের চাহিদা বেশি। এদিকে আমদানির তুলনায় রপ্তানি না বাড়ায় এবং রেমিট্যান্স কমায় বাজারে ডলারের জোগান কমেছে। এসব কারণে এর দাম বাড়ছে।
নিউজ লাইট ৭১