শেখ হাসিনার সততার সোনালি ফসল পদ্মা সেতু
- আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
- / 23
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, শতভাগ সততার সাথে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক অবশেষে নিজেরাই স্বীকার করেছে ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে।’ বাঙালি জাতির স্বপ্ন পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে অপবাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হেনস্তা করেছে। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, পুতুল, ববিসহ সবাইকে এই পদ্মা সেতুর জন্য হেনস্তা হতে হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার সাহস ও সততার সোনালি ফসল এই পদ্মা সেতু।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে শহরের রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর জেলা আ. লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আ. লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সকাল ১১টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। গাজীপুর জেলা আ. লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি’র সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মির্জা আজম এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মো. ইকবাল হোসেন অপু এমপি, মোহাম্মদ সাইদ খোকন, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মহানগর আ. লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি এমপি, জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান, মহানগর আ. লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর এতো ব্যয় নিয়ে ফখরুল সাহেব এতো কথা বলেন। খরস্রোতা পদ্মা নদীতে ফেরি চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। অ্যামাজানের মতো পদ্ম নদীর খরস্রোতা আর কোনো নদীতে নেই। এখন সাত মিনিটে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু পার হওয়া যাবে। আর ফেরিতে গেলে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ছয় বছর নির্বাসনে ছিলেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। ছয় বছর পর আ. লীগ যখন কলহ-কোন্দলে জর্জরিত তখন ঐকের প্রতীক হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সর্বসম্মতভাবে আ. লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছয় বছর পর অনেক বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন।
তিনি আগামী নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে গাজীপুরের নেতৃবৃন্দকে অন্তঃকলহ বিরোধ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, এভাবেই আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্ত পৌঁছাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মানুষ খুশি। অথচ ফখরুল সাহেবের মন খারাপ। দেশের মানুষ ভালো আছে, ফখরুল সাহেবের মন খারাপ। মানুষ ভালো থাকলে বিএনপির মন খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে বিএনপি নেতাদের। যাদের গত তের বছরের ইতিহাস আন্দোলন আর আন্দোলন দেখতে দেখতে তের বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, বিএনপি এখন পদ্মা সেতু দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে। আজকে বিআরটি হয়ে যাচ্ছে, মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে, কর্ণফুলি শেখ মুজিবুর রহমান টানেল হয়ে যাচ্ছে। সামনে ভোট, বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আ. লীগ বিরোধীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। অকথ্য ভাষায় অপপ্রচার করছে তারা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে যেসব উন্নয়নকাজ অসমাপ্ত রয়েছে, চলমান কাজগুলো অচিরেই সমাপ্ত হবে। নতুন কোনো কাজ থাকলে সে কাজে নেত্রীর নির্দেশ আছে। গাজীপুরের প্রতি তার বিশেষ একটা টান আছে। তিনি বলেছেন কাজ শেষ করার জন্য। আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলো আমরা অচিরেই শুরু করব।
নিউজ লাইট ৭১