ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিনেত্রী পল্লবীর প্রেমিককে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • / 30

অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যু-মামলায় তার ‘লিভ-ইন’ সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ সাগ্নিককে গরফা থানা থেকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক সাগ্নিককে পুলিশ হেফাজতে রাখার এই নির্দেশ দেন।

তবে আদালতে জামিনের আবেদন করে সাগ্নিকের আইনজীবী জানান, এই ঘটনা প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের কারণেই হয়েছে। তবে পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী অর্ঘ্য গোস্বামী জানান, অভিনেত্রীর মৃত্যুর সময় ঘটনাস্থলে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই কারণে এখনই জামিন দেওয়া উচিত নয় সাগ্নিককে।

বুধবার সকালেই গরফা থানায় পৌঁছন প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিচারিকা সেলিমা সর্দার-ও। থানায় গিয়ে সেলিমা দাবি করেন, পল্লবীর উপস্থিতিতে নাকি একাধিক বার গরফার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে পল্লবী বেরিয়ে যাওয়ার পরও ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে থেকে যেতেন ঐন্দ্রিলা।

তিনি আরও জানান, পল্লবী থাকাকালীনই সাগ্নিকের সঙ্গে দেখা করতে একাধিক বার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার। পরে পল্লবী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরও সাগ্নিক ও ঐন্দ্রিলা দরজা বন্ধ করে দিয়ে বেশ কিছু সময় এক সঙ্গে কাটান। সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলার ঘনিষ্ঠতা তার ভাল লাগেনি বলেও সেলিমা জানিয়েছেন।

তার আরও দাবি, ঈদের দিনেও ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সাগ্নিক এবং পল্লবীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া এবং কথা-কাটাকাটি হত বলেও দাবি করেছেন সেলিমা।

প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর মৃত্যু-মামলায় তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবারই পল্লবীর বাবা নীলু দে পুলিশে অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনি সাগ্নিক, তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার-সহ কয়েক জনের নাম করেছিলেন। এর পর সাগ্নিককে সোমবার রাতভর জেরা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

অভিনেত্রী পল্লবীর প্রেমিককে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যু-মামলায় তার ‘লিভ-ইন’ সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ সাগ্নিককে গরফা থানা থেকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক সাগ্নিককে পুলিশ হেফাজতে রাখার এই নির্দেশ দেন।

তবে আদালতে জামিনের আবেদন করে সাগ্নিকের আইনজীবী জানান, এই ঘটনা প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের কারণেই হয়েছে। তবে পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী অর্ঘ্য গোস্বামী জানান, অভিনেত্রীর মৃত্যুর সময় ঘটনাস্থলে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই কারণে এখনই জামিন দেওয়া উচিত নয় সাগ্নিককে।

বুধবার সকালেই গরফা থানায় পৌঁছন প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিচারিকা সেলিমা সর্দার-ও। থানায় গিয়ে সেলিমা দাবি করেন, পল্লবীর উপস্থিতিতে নাকি একাধিক বার গরফার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে পল্লবী বেরিয়ে যাওয়ার পরও ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে থেকে যেতেন ঐন্দ্রিলা।

তিনি আরও জানান, পল্লবী থাকাকালীনই সাগ্নিকের সঙ্গে দেখা করতে একাধিক বার ফ্ল্যাটে এসেছিলেন বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার। পরে পল্লবী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরও সাগ্নিক ও ঐন্দ্রিলা দরজা বন্ধ করে দিয়ে বেশ কিছু সময় এক সঙ্গে কাটান। সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলার ঘনিষ্ঠতা তার ভাল লাগেনি বলেও সেলিমা জানিয়েছেন।

তার আরও দাবি, ঈদের দিনেও ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সাগ্নিক এবং পল্লবীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া এবং কথা-কাটাকাটি হত বলেও দাবি করেছেন সেলিমা।

প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর মৃত্যু-মামলায় তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবারই পল্লবীর বাবা নীলু দে পুলিশে অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তিনি সাগ্নিক, তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার-সহ কয়েক জনের নাম করেছিলেন। এর পর সাগ্নিককে সোমবার রাতভর জেরা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১