ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নেটওয়ার্ক জ্যামার’ কিনতো অপরাধীরা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • / 33

অপরাধীরা অপরাধ করলে ভিকটিমরা যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে চাইলেও কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক না পান এ জন্য ‘নেটওয়ার্ক জ্যামার’ ব্যবহার করে থাকে অপরাধী চক্র। এভাবে নিজেদের আড়াল করে নির্বিঘ্নভাবে অপরাধ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অপরাধীরা। এ জন্য অপরাধীরাও অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে উচ্চমূল্যে এসব অবৈধ ডিভাইস কিনতো। অবৈধভাবে এসব মোবাইল জ্যামারসহ এন্টেনা, কেবল ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তাররা হলো- মোহাম্মদ আবু নোমান (২৮) ও সোহেল রানা (২৭)।

রোববার ভোরে মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করার পর একইদিন দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল নেটওয়ার্কের চারটি জ্যামার, ২৪টি জ্যামার এন্টেনা, তিনটি পাওয়ার কেবল, তিনটি মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার, ৯টি বুস্টার-এর আউটডোর এন্টেনা, ২৬টি বুস্টারের ইনডোর এন্টেনা, ৩৭টি বুস্টারের কেবল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করে আসছিলো। গ্রেপ্তার নোমানের আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা আইপি ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ-এর পাশাপাশি উচ্চমূল্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ-এর যন্ত্রাংশ লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছিলো। তাদের ক্রেতা ছিলো বিভিন্ন বহুতল ভবনের বাসিন্দা ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অপরাধীরাও অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে উচ্চমূল্যে তাদের থেকে এসব অবৈধ ডিভাইস কিনতো বলেও জানান তিনি।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, বৈধ আমদানিকারকের মাধ্যমে অধিক পরিবহন মূল্য পরিশোধ করে বৈধ মালামালের আড়ালে এসব অবৈধ যন্ত্রাংশ এনে অনলাইন প্লাটফর্মে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতো তারা।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, অপরাধীরা নেটওয়ার্ক জ্যামার ব্যবহার করে অপরাধ করলে ভিকটিম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে চাইলেও কোনো মোবাইলে নেটওয়ার্ক পান না। আর এভাবেই অপরাধীরা নিজেদের আড়াল করে নির্বিঘ্নভাবে অপরাধ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, কোনও স্থানে জ্যামার থাকলে আশেপাশেও নেটওয়ার্ক সংযোগ পাওয়া যায় না। অবৈধ বুস্টার ও রিপিটার একই ধরনের সমস্যা করে। এ ধরনের অবৈধ মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার যে জ্যামার এন্টেনা, মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার, বুস্টারের আউটডোর এন্টেনা, বুস্টার কেবলসহ যন্ত্রাংশ সরবরাহ ক্রয়-বিক্রয় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২১-এর লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

‘নেটওয়ার্ক জ্যামার’ কিনতো অপরাধীরা

আপডেট টাইম : ০৬:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

অপরাধীরা অপরাধ করলে ভিকটিমরা যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে চাইলেও কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক না পান এ জন্য ‘নেটওয়ার্ক জ্যামার’ ব্যবহার করে থাকে অপরাধী চক্র। এভাবে নিজেদের আড়াল করে নির্বিঘ্নভাবে অপরাধ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অপরাধীরা। এ জন্য অপরাধীরাও অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে উচ্চমূল্যে এসব অবৈধ ডিভাইস কিনতো। অবৈধভাবে এসব মোবাইল জ্যামারসহ এন্টেনা, কেবল ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তাররা হলো- মোহাম্মদ আবু নোমান (২৮) ও সোহেল রানা (২৭)।

রোববার ভোরে মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করার পর একইদিন দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল নেটওয়ার্কের চারটি জ্যামার, ২৪টি জ্যামার এন্টেনা, তিনটি পাওয়ার কেবল, তিনটি মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার, ৯টি বুস্টার-এর আউটডোর এন্টেনা, ২৬টি বুস্টারের ইনডোর এন্টেনা, ৩৭টি বুস্টারের কেবল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করে আসছিলো। গ্রেপ্তার নোমানের আইটি স্টল ডটকম ডটবিডি নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা আইপি ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ-এর পাশাপাশি উচ্চমূল্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ-এর যন্ত্রাংশ লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছিলো। তাদের ক্রেতা ছিলো বিভিন্ন বহুতল ভবনের বাসিন্দা ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অপরাধীরাও অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে উচ্চমূল্যে তাদের থেকে এসব অবৈধ ডিভাইস কিনতো বলেও জানান তিনি।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, বৈধ আমদানিকারকের মাধ্যমে অধিক পরিবহন মূল্য পরিশোধ করে বৈধ মালামালের আড়ালে এসব অবৈধ যন্ত্রাংশ এনে অনলাইন প্লাটফর্মে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতো তারা।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, অপরাধীরা নেটওয়ার্ক জ্যামার ব্যবহার করে অপরাধ করলে ভিকটিম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে চাইলেও কোনো মোবাইলে নেটওয়ার্ক পান না। আর এভাবেই অপরাধীরা নিজেদের আড়াল করে নির্বিঘ্নভাবে অপরাধ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, কোনও স্থানে জ্যামার থাকলে আশেপাশেও নেটওয়ার্ক সংযোগ পাওয়া যায় না। অবৈধ বুস্টার ও রিপিটার একই ধরনের সমস্যা করে। এ ধরনের অবৈধ মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার যে জ্যামার এন্টেনা, মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার, বুস্টারের আউটডোর এন্টেনা, বুস্টার কেবলসহ যন্ত্রাংশ সরবরাহ ক্রয়-বিক্রয় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২১-এর লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

নিউজ লাইট ৭১