ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ উন্নয়নের সব সূচকেই এগিয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
  • / 34

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি : সংগৃহীত)

বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগাপ্রকল্পগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত সাড়ে তের বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের সকল সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি। আমাদের মেগাপ্রকল্পগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে এনেছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি।

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষ্যে শনিবার (১৬ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমরা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং এর বাস্তবায়নও শুরু করেছি।

ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, ‘৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ যথাক্রমে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন। ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’- সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এসময় ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগান দেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাবলী সারা পূর্ব বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করে। এই পরিস্থিতিতে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে প্রেরণ করে এবং পূর্ব বাংলায় নারকীয় তাণ্ডবলীলা ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকার শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণার প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং অনুমোদন প্রদানের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। মেহেরপুর হয়ে উঠে অস্থায়ী সরকারের রাজধানী এবং সেদিন থেকে এ স্থানটি ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, অস্থায়ী সরকার ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহকে প্রাধান্য দিয়ে মাত্র নয় মাসেই একটি সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। সাড়ে ৩ বছরের মধ্যেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত করেছিলেন। দুর্ভাগ্য, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতির পিতাকে সপরিবার নির্মমভাবে হত্যা করে। ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর, আমরা জাতির পিতা এবং জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার করেছি। পরবর্তিতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠা করে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি।

মুজিবনগর দিবসের ৫১ বছর পূর্তিতে জাতির পিতার মহান আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন, ঐক্যবদ্ধভাবে সকল আশু ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করি।

শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞচিত্তে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে স্মরণ করেন। এছাড়া বাণীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র : বাসস

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ উন্নয়নের সব সূচকেই এগিয়েছে

আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগাপ্রকল্পগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত সাড়ে তের বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের সকল সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি। আমাদের মেগাপ্রকল্পগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে এনেছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি।

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষ্যে শনিবার (১৬ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমরা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং এর বাস্তবায়নও শুরু করেছি।

ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, ‘৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ যথাক্রমে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন। ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’- সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এসময় ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগান দেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাবলী সারা পূর্ব বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করে। এই পরিস্থিতিতে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে প্রেরণ করে এবং পূর্ব বাংলায় নারকীয় তাণ্ডবলীলা ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকার শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণার প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং অনুমোদন প্রদানের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। মেহেরপুর হয়ে উঠে অস্থায়ী সরকারের রাজধানী এবং সেদিন থেকে এ স্থানটি ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, অস্থায়ী সরকার ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহকে প্রাধান্য দিয়ে মাত্র নয় মাসেই একটি সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। সাড়ে ৩ বছরের মধ্যেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত করেছিলেন। দুর্ভাগ্য, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতির পিতাকে সপরিবার নির্মমভাবে হত্যা করে। ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর, আমরা জাতির পিতা এবং জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার করেছি। পরবর্তিতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠা করে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি।

মুজিবনগর দিবসের ৫১ বছর পূর্তিতে জাতির পিতার মহান আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন, ঐক্যবদ্ধভাবে সকল আশু ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করি।

শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞচিত্তে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে স্মরণ করেন। এছাড়া বাণীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র : বাসস

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button