ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচটি দেশ একটি নতুন সেনাবাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
  • / 36

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচটি দেশ একটি নতুন সেনাবাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিতরে নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই একটি নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে পাঁচ দেশ। জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং স্লোভেনিয়া জানিয়েছে, ৫টি দেশ একত্রে একটি সেনাবাহিনী বা অ্যাকশন ফোর্স তৈরির পরিকল্পনা করেছে।

দুটি ভাগে বিভক্ত সেই বাহিনীর একেকটি শাখায় দেড় হাজার করে সেনা থাকবে। প্রতিটি দেশ থেকেই সেনা অংশগ্রহণ থাকবে, যার একটি উইং সবসময় স্ট্যান্ডবাই থাকবে। কোনো সমস্যা হলেই তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

শুধু ভূমিযুদ্ধই নয়, সাইবার যুদ্ধেও এ সেনা পারদর্শী হবে বলে পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। পাঁচটি দেশই নতুন এই বাহিনী নিয়ে আশাবাদী।

বস্তুত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ এ ধরনের ফোর্স তৈরি করতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর সবুজসংকেত লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিষয়টি ওঠানো হলে বাহনীটিকে আরও বড় করা যেতে পারে বলেও প্রস্তাব আসতে পারে।

জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ এ খবর প্রচার করার পর জার্মান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ন্যাটো ফোর্সের বিকল্প ফোর্স হিসেবে এ ফোর্সটিকে দেখতে তিনি রাজি নন।

জার্মানির বামপন্থী দল অবশ্য এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সামরিক শক্তি নয়, মানবাধিকারের বিষয় নিয়েই তাদের কাজ করা উচিত। নতুন বাহিনী তৈরির কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। যেভাবে আফগান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করেছে বামপন্থী দল।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

পাঁচটি দেশ একটি নতুন সেনাবাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে

আপডেট টাইম : ০৮:১৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচটি দেশ একটি নতুন সেনাবাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিতরে নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই একটি নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে পাঁচ দেশ। জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং স্লোভেনিয়া জানিয়েছে, ৫টি দেশ একত্রে একটি সেনাবাহিনী বা অ্যাকশন ফোর্স তৈরির পরিকল্পনা করেছে।

দুটি ভাগে বিভক্ত সেই বাহিনীর একেকটি শাখায় দেড় হাজার করে সেনা থাকবে। প্রতিটি দেশ থেকেই সেনা অংশগ্রহণ থাকবে, যার একটি উইং সবসময় স্ট্যান্ডবাই থাকবে। কোনো সমস্যা হলেই তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

শুধু ভূমিযুদ্ধই নয়, সাইবার যুদ্ধেও এ সেনা পারদর্শী হবে বলে পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। পাঁচটি দেশই নতুন এই বাহিনী নিয়ে আশাবাদী।

বস্তুত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ এ ধরনের ফোর্স তৈরি করতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর সবুজসংকেত লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিষয়টি ওঠানো হলে বাহনীটিকে আরও বড় করা যেতে পারে বলেও প্রস্তাব আসতে পারে।

জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ এ খবর প্রচার করার পর জার্মান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ন্যাটো ফোর্সের বিকল্প ফোর্স হিসেবে এ ফোর্সটিকে দেখতে তিনি রাজি নন।

জার্মানির বামপন্থী দল অবশ্য এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সামরিক শক্তি নয়, মানবাধিকারের বিষয় নিয়েই তাদের কাজ করা উচিত। নতুন বাহিনী তৈরির কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। যেভাবে আফগান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করেছে বামপন্থী দল।

নিউজ লাইট ৭১