বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ
- আপডেট টাইম : ০৫:৩০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
- / 51
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১১৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬তম। অন্যদিকে এই সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ৯২তম ও ভারত ১০১তম।
অবশ্য ২০২০ সালের ক্ষুধা সূচকে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। ২০১৯ সালে সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ছিল ৮৬তম। সেই হিসেবে চলতি বছর বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের একধাপ অবনতি হয়েছে। এছাড়া নেপালও যৌথভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ৭৬ নম্বরে রয়েছে।
এদিকে ক্ষুধা সূচকে আরও নিচে নেমে গেছে ভারত। সর্বশেষ প্রকাশিত রিপোর্টে সাত ধাপ অবনতি হয়েছে দেশটির। ২০২১ সালে বিশ্বের ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১০১তম। ২০২০ সালে দেশটি এই তালিকার ৯৪ নম্বরে ছিল। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) চলতি বছরের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের ক্রমতালিকা প্রকাশিত হয়। ক্রমতালিকায় ভারতের পেছনে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, ইয়েমেন, সোমালিয়ার মতো ১৫টি দেশ। তালিকা প্রস্তুতকারীরা একে ‘ভয়াবহ’হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রতি বছর আয়ারল্যান্ডের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ’ যৌথভাবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ক্ষুধার পরিমাণ নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে যে কোনো দেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক অবস্থান, শিশু স্বাস্থ্য এবং সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের মতো বিষয়গুলো।
মূলত চারটি বিষয়কে সামনে রেখে তৈরি করা হয় গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই)-র এই সূচক। এগুলো হল অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের উচ্চতা, মৃত্যুহার, উচ্চতার তুলনায় ওজন। তবে সামগ্রিকভাবে ভারতের অবস্থান হতাশাজনক হলেও পাঁচ বছরের কমবয়সীদের মৃত্যুহার কিংবা অপুষ্টির হারে আগের থেকে উন্নতি করেছে দেশটি।
এবারের সূচকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। জিএইচআইতে এ দেশটির পয়েন্ট খুব কম, যা উদ্বেগজনক। আরও পাঁচটি দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে জানা গেছে। সেই দেশগুলো হচ্ছে, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, চাদ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মাদাগাস্কার ও ইয়েমেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৪৭টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা সূচকে তাদের লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হবে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের জিরো হাঙ্গার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও সংশয় থেকে যাচ্ছে।
তবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের এই তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে চীন, ব্রাজিল, কুয়েতের মতো ১৮টি দেশ। এসব দেশের জিএইচআই স্কোর ৫-এরও নিচে রয়েছে।
বর্তমান জিএইচআইয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধার হার কমিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না বিশ্বের ৪৭টি দেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দিক থেকে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাহত হয়েছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সংঘর্ষ, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ। সুত্র : দ্যা টেলিগ্রাফ, এনডিটিভি
নিউজ লাইট ৭১