ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমৃত্যু উল্লেখ না থাকলে আসামিকে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর সশ্রম কারাবাস

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • / 65

আদেশে আমৃত্যু উল্লেখ না থাকলে আসামিকে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর সশ্রম কারাবাস করতে হবে বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়টি প্রকাশ করা হয়। যাবজ্জীবন সাজা মানে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ এই রায় প্রকাশ করলো সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এই রায়ে সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে আমৃত্যু কারাবাস বলে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রায়ে লেখা হয়েছে প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে হচ্ছে দণ্ডিত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বাকি জীবন। কিন্তু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৫ ও ৫৩ ধারার সঙ্গে দণ্ড বিধির ৫৫ ও ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ (এ) ধারা একসঙ্গে পড়লে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাবাস। তবে আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কাউকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হলে সেই দণ্ডিত ব্যক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ (এ) ধারার সুবিধা পাবেন না।

সর্বোচ্চ আদালতের আজকের রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী শিশির মনির।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

আমৃত্যু উল্লেখ না থাকলে আসামিকে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর সশ্রম কারাবাস

আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

আদেশে আমৃত্যু উল্লেখ না থাকলে আসামিকে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর সশ্রম কারাবাস করতে হবে বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়টি প্রকাশ করা হয়। যাবজ্জীবন সাজা মানে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ এই রায় প্রকাশ করলো সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এই রায়ে সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে আমৃত্যু কারাবাস বলে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রায়ে লেখা হয়েছে প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে হচ্ছে দণ্ডিত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বাকি জীবন। কিন্তু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৫ ও ৫৩ ধারার সঙ্গে দণ্ড বিধির ৫৫ ও ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ (এ) ধারা একসঙ্গে পড়লে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাবাস। তবে আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কাউকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হলে সেই দণ্ডিত ব্যক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ (এ) ধারার সুবিধা পাবেন না।

সর্বোচ্চ আদালতের আজকের রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী শিশির মনির।

নিউজ লাইট ৭১