কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ
- আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১
- / 86
কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন পলিসির ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা কমছে এই সোশাল চ্যাটিং অ্যাপের। পরিস্থিতির সামাল দিতে নানাভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা শুরু হয়েছে। জানানো হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি নয় মে মাসে চালু হবে নতুন পলিসি। তবুও এক অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরেছে। হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সাধারণ মানুষের আইনি অধিকারেও প্রভাব ফেলতে পারে।
কিন্তু কী আছে এই পলিসিতে? পলিসি অনুযায়ী, অ্যাপটির আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করতে গেলে প্রত্যেককে একটি ‘ অ্যাগ্রি অ্যান্ড অ্যাকসেপ্ট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। না হলে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাবে এই অ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের এই আপডেটেড পলিসি অনুযায়ী, সংস্থার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে ব্যবহারকারীর তথ্য। এক্ষেত্রে মালিকানাধীন সংস্থা ফেসবুক ও তার অধীনস্থ অন্য অ্যাপেও শেয়ার হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ডাটা।
এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডাটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি। তবে এই চ্যাটিং প্ল্যাটফর্মের দাবি ছিল, নতুন পলিসির মাধ্যমে পরিষেবা এবং ইউজার এক্সপিরিয়েন্সকে আরও মজবুত করে তোলা হবে। কিন্তু তথ্য ফাঁস যাওয়ার ভয়ে ভুগতে শুরু করেছেন মানুষজন। তাদের আতঙ্ক- এবার হয় তো সমস্ত গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
এই বিষয়টির সমাধান করা হোয়াটসেঅ্যাপের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয় দেখা দেবে। প্রাইমারি টেক্সট মেসেজগুলো বিজনেস অ্যাকাউন্টে শেয়ার হয়ে যাবে। আর একটি বিষয় হল মেটা ডাটা। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গোপনীয় ও সংবেদনশীল তথ্যও ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সহজ কথায় বলতে গেলে এই মেটা ডাটা হল একটি মেসেজের সমস্ত কিছু। শুধু কনটেন্ট বাদ দিয়ে বাকি পুরোটাই মেটা ডাটা। এক্ষেত্রে কনট্যাক্ট নম্বর, লোকেশন, ফিনান্সিয়াল ডিটেইলস সহ সমস্ত কিছু ফাঁস হয়ে যাবে। ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়ার পর তা ব্যবহার করে নানা প্ল্যাটফর্মে একাধিক বিজ্ঞাপন দিতে পারবে ফেসবুক। সহজ কথায় বলতে গেলে বেআইনিভাবে নিজের ব্যবসা বাড়াবে।
নিউজ লাইট ৭১