ময়মনসিংহের নান্দাইলে হিল্লা বিয়ের নামে এক সাব-কাজীর শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর বাশঁহাটি বাজারে নান্দাইল চৌরাস্তা-কেন্দুয়া রোডের উপর সাব-কাজী আরিফ রাব্বানীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। 

স্থানীয় ও ভিডিও সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বাশঁহাটি বাজার সংলগ্ন এলাকার একটি পাঞ্জেখানায় সাব-কাজী হাফেজ আরিফ রাব্বানী ওরফে শাহজাহান (৫০) এক গৃহবধূর সঙ্গে এই যৌনকর্মের কাণ্ড ঘটায়। সে ওই এলাকার মৃত আলী আকবর মাস্টারের পুত্র। নিজের এলাকায় গড়ে তুলেছেন উক্ত পাঞ্জেখানা। তবে মসজিদ হিসাবে প্রচার হলেও তাতে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয় না। সেখানে প্রতিদিন সকালে শিশুদেরকে আরবি শিক্ষা দেওয়া হয়। 

এলাকাবাসী জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে এক গৃহবধু তার স্বামী রাগের বশে তাকে তিন তালাক দেন। কিন্তু পরে তার স্বামী ভুল বুঝতে পারায় উক্ত গৃহবধূ সাব-কাজী আরিফ রাব্বানীর কাছে পরামর্শ চান। পরে ওই কাজী গৃহবধূকে হিল্লা বিয়ের পরামর্শ দেন। এতে উক্ত গৃহবধূ তাকেই বিয়ে করতে রাজি হন। পরে তিনি কৌশলে গৃহবধূকে পাঞ্জেখানায় নিয়ে যৌন মেলামেশা করেছেন। আর এই ঘটনাটি কে বা কারা গোপনে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দেয়। 

বর্তমানে হাফেজ আরিফ রাব্বানী ওরফে শাহজাহান এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক স্কুল ছাত্র জানান, এই মসজিদে গত এক সপ্তাহ ধরে এক নারী হুজুরের কাছে আসেন। অনেক্ষণ থেকে আবার চলে যান। প্রথমে বিষয়টি কিছু বুঝতে না পারলেও একদিন আড়ালে থেকে দেখতে পাই ওই নারীকে নিয়ে টানাটানি করেন হুজুর। পরে আরেক দিন ওৎপেতে থেকে মসজিদের পিছনে গিয়ে একটি ফাঁক দিয়ে মোবাইলের ভিডিও চালু রেখে কিছুক্ষণ ধরে রাখি। পরে দেখা যায় ওই নারীর সাথে হুজুর আপত্তিজনক অবস্থায় মেলামেশা করছেন। পরে ঘটনাটি অনেককেই জানানো হয়। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।  

(ভিডিওটি আপত্তিকর বিধায় প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।)

নিউজ লাইট ৭১