ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী মার্চে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবর্তে পূর্বাচলে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 67

আগামী মার্চে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবর্তে পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে নব নির্মিত বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) অনুষ্ঠিত হবে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৬তম আসর।

বিসিএফইসিতে হল রুম, কনফারেন্স সেন্টার, বাণিজ্য তথ্য কেন্দ্র, সভা কক্ষ, প্রেস কেন্দ্র, সার্ভিস রুম, আধুনিক গাড়ি পার্কিং, রাউন্ড-দ্য-ক্লক সিসিটিভি এমনকি নিজস্ব বিদ্যুতের সাবস্টেশনসহ বিশ্বমানের সব সুবিধা রয়েছে।

আধুনিক ভেন্যুতে মেলার আয়োজন হওয়ায় বিদেশি ব্যবসা ও গ্রাহকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি আগে আগারগাঁওয়ের আশেপাশে যে যানজটের সৃষ্ট হতো তা থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।

ইপিবি সেক্রেটারি মো. ইফতিখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চের সঙ্গে মিল রেখে তারা মেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সকল নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন এটি হস্তান্তর করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান হবে। মেলা যথারীতি মাসব্যাপী হবে, তবে তারিখটি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই একটি সঠিক তারিখ নির্ধারণ করবেন। তারপর আমরা টেন্ডার ঘোষণা করব এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে চিঠি দেবো।

ইফতিখার আহমেদ বলেন, পূর্বাচলে ২৬ একর জায়গাজুড়ে প্রায় ৩০০টি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টল স্থাপন করা যেতে পারে। কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক ছাড়া মেলায় প্রবেশ করা যাবে না। বেশিরভাগ স্টল দুটি হলরুমে স্থাপন করা হবে, তবে কিছু স্টল খোলা মাঠেও স্থাপন করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডিআইটিএফের আগের ভেন্যু আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই সরকার আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে এটি স্থায়ী ভেন্যুতে ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৫তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৪৮৩টি স্টল ছিল। ওই মেলায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো প্রায় ২০০ কোটি টাকার রপ্তানি অর্ডার পেয়েছিল।

বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে— ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, জার্মান, হংকং, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, মরিশাস, রাশিয়া, ইরান ও সোয়াজিল্যান্ড অংশ নেয়। সূত্র- ইউএনবি

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

আগামী মার্চে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবর্তে পূর্বাচলে

আপডেট টাইম : ০৩:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

আগামী মার্চে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবর্তে পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে নব নির্মিত বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) অনুষ্ঠিত হবে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৬তম আসর।

বিসিএফইসিতে হল রুম, কনফারেন্স সেন্টার, বাণিজ্য তথ্য কেন্দ্র, সভা কক্ষ, প্রেস কেন্দ্র, সার্ভিস রুম, আধুনিক গাড়ি পার্কিং, রাউন্ড-দ্য-ক্লক সিসিটিভি এমনকি নিজস্ব বিদ্যুতের সাবস্টেশনসহ বিশ্বমানের সব সুবিধা রয়েছে।

আধুনিক ভেন্যুতে মেলার আয়োজন হওয়ায় বিদেশি ব্যবসা ও গ্রাহকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি আগে আগারগাঁওয়ের আশেপাশে যে যানজটের সৃষ্ট হতো তা থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।

ইপিবি সেক্রেটারি মো. ইফতিখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চের সঙ্গে মিল রেখে তারা মেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সকল নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন এটি হস্তান্তর করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান হবে। মেলা যথারীতি মাসব্যাপী হবে, তবে তারিখটি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই একটি সঠিক তারিখ নির্ধারণ করবেন। তারপর আমরা টেন্ডার ঘোষণা করব এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে চিঠি দেবো।

ইফতিখার আহমেদ বলেন, পূর্বাচলে ২৬ একর জায়গাজুড়ে প্রায় ৩০০টি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টল স্থাপন করা যেতে পারে। কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক ছাড়া মেলায় প্রবেশ করা যাবে না। বেশিরভাগ স্টল দুটি হলরুমে স্থাপন করা হবে, তবে কিছু স্টল খোলা মাঠেও স্থাপন করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডিআইটিএফের আগের ভেন্যু আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই সরকার আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে এটি স্থায়ী ভেন্যুতে ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৫তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৪৮৩টি স্টল ছিল। ওই মেলায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো প্রায় ২০০ কোটি টাকার রপ্তানি অর্ডার পেয়েছিল।

বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে— ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, জার্মান, হংকং, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, মরিশাস, রাশিয়া, ইরান ও সোয়াজিল্যান্ড অংশ নেয়। সূত্র- ইউএনবি

নিউজ লাইট ৭১