ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / 72

ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত তথাকথিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। সোমবার লাহোরের হাইকোর্ট বিতর্কিত এই টেস্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দেন।

৩০ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি আয়েশা এ মালিক বলেন, ‘কুমারিত্ব পরীক্ষার এই চর্চা ভুক্তভোগী নারীর আত্মমর্যাদায় আঘাত হানে।’

সম্প্রতি পাকিস্তানে ধর্ষণ আইনেও আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। কিন্তু ভার্জিনিটি বা টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি তখন।

তবে পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মীরা এ পদ্ধতি বন্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানি শেষে লাহোরের হাইকোর্ট এ রায় দেন। 

পাঞ্জাবপ্রদেশে এটি কার্যকর হবে। পাকিস্তানে এ পদ্ধতি নিষিদ্ধের এটিই প্রথম রায়। মানবাধিকারকর্মীদের আশা খুব দ্রুতই এ রায় সারাদেশে কার্যকর হবে।

টু ফিঙ্গার টেস্ট মূলত বহু পুরনো প্রচলিত পরীক্ষা। যেখানে মেডিকেল অফিসার ধর্ষণের পর নারীর যৌনাঙ্গে দুইটি আঙুল প্রবেশ করিয়ে ভার্জিনিটি পরীক্ষা করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বহু দিন আগেই জানিয়েছে, এই পরীক্ষার কোনো অর্থ নেই। বরং এ ধরনের টেস্টের মাধ্যমে নারীদের অপমানই করা হয়।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত

আপডেট টাইম : ০৫:২১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত তথাকথিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। সোমবার লাহোরের হাইকোর্ট বিতর্কিত এই টেস্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দেন।

৩০ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি আয়েশা এ মালিক বলেন, ‘কুমারিত্ব পরীক্ষার এই চর্চা ভুক্তভোগী নারীর আত্মমর্যাদায় আঘাত হানে।’

সম্প্রতি পাকিস্তানে ধর্ষণ আইনেও আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। কিন্তু ভার্জিনিটি বা টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি তখন।

তবে পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মীরা এ পদ্ধতি বন্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানি শেষে লাহোরের হাইকোর্ট এ রায় দেন। 

পাঞ্জাবপ্রদেশে এটি কার্যকর হবে। পাকিস্তানে এ পদ্ধতি নিষিদ্ধের এটিই প্রথম রায়। মানবাধিকারকর্মীদের আশা খুব দ্রুতই এ রায় সারাদেশে কার্যকর হবে।

টু ফিঙ্গার টেস্ট মূলত বহু পুরনো প্রচলিত পরীক্ষা। যেখানে মেডিকেল অফিসার ধর্ষণের পর নারীর যৌনাঙ্গে দুইটি আঙুল প্রবেশ করিয়ে ভার্জিনিটি পরীক্ষা করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বহু দিন আগেই জানিয়েছে, এই পরীক্ষার কোনো অর্থ নেই। বরং এ ধরনের টেস্টের মাধ্যমে নারীদের অপমানই করা হয়।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

নিউজ লাইট ৭১