ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীরের মূল্যবান অঙ্গ চোখ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / 82

শরীরের মূল্যবান অঙ্গ চোখ। এই চোখই ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে অবারিত। শহরের ধুলোময় পরিবেশ, পর্যাপ্ত সবুজ গাছপালা না থাকা, অপরিশোধিত পানি ও কল-কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়াসহ নানা কারণে মানুষের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। 

অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদেরও দেখা যায় মোটা লেন্সের চশমা পরতে। তবে আমরা যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনি তাহলে চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। চোখকে সুস্থ রাখতে আসলে নিয়মিতই কিছু খাবার দরকার। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক চোখের যত্নে যেসব খাবার খাওয়া জরুরি সে সম্পর্কে-

গাজর ও অন্যান্য কমলা রঙের ফল ও সবজি: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ কমলা রঙের ফল সবচেয়ে উপকারী। এসব ফলে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়ে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া রোধে কাজ করে। গাজর ছাড়াও মিষ্টি আলু, কুমড়ো, লাউ জাতীয় সবজি, কমলা ও লাল মরিচেও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে।

সবুজ শাক সবজি: পাতা কপি, শাক, ব্রকলি, সবুজ শাক সবজি এমনকি ডাল এবং অ্যাভোকাডোর ভেতর থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চোখের ছানি ও ম্যাকুলার পতন রোধে দারুণ কার্যকরী। দৃশ্যমান আলো চোখের লেন্স ও রেটিনার ক্ষতি করে। 

জাম এবং লেবু জাতীয় ফল: ভিটামিন সি চোখের ক্ষতি এবং চোখের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন প্রত্যেকের খাবার তালিকায় ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার থাকা বাঞ্ছনীয়। দিনে একটি কমলা, আঙুর, লেবু বা বাতাবি লেবু খাওয়াই যথেষ্ট। সকল জামেই জন্য প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকে।  স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, কালো জাম, আম, পেপে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল।

মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার: মস্তিষ্ক, হূৎপিণ্ড ও চোখের সুস্বাস্থ্যে গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। স্যালমন, সারডিন, টোনা, হেরিং, রাঘববোয়াল মাছ এবং কাঁকড়া ও ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি রয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন এসব খাদ্য গ্রহণ করলে দৃষ্টিশক্তি ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই তা দারুণ কার্যকর হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

শরীরের মূল্যবান অঙ্গ চোখ

আপডেট টাইম : ০৪:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

শরীরের মূল্যবান অঙ্গ চোখ। এই চোখই ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে অবারিত। শহরের ধুলোময় পরিবেশ, পর্যাপ্ত সবুজ গাছপালা না থাকা, অপরিশোধিত পানি ও কল-কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়াসহ নানা কারণে মানুষের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। 

অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদেরও দেখা যায় মোটা লেন্সের চশমা পরতে। তবে আমরা যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনি তাহলে চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। চোখকে সুস্থ রাখতে আসলে নিয়মিতই কিছু খাবার দরকার। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক চোখের যত্নে যেসব খাবার খাওয়া জরুরি সে সম্পর্কে-

গাজর ও অন্যান্য কমলা রঙের ফল ও সবজি: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ কমলা রঙের ফল সবচেয়ে উপকারী। এসব ফলে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়ে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া রোধে কাজ করে। গাজর ছাড়াও মিষ্টি আলু, কুমড়ো, লাউ জাতীয় সবজি, কমলা ও লাল মরিচেও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে।

সবুজ শাক সবজি: পাতা কপি, শাক, ব্রকলি, সবুজ শাক সবজি এমনকি ডাল এবং অ্যাভোকাডোর ভেতর থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চোখের ছানি ও ম্যাকুলার পতন রোধে দারুণ কার্যকরী। দৃশ্যমান আলো চোখের লেন্স ও রেটিনার ক্ষতি করে। 

জাম এবং লেবু জাতীয় ফল: ভিটামিন সি চোখের ক্ষতি এবং চোখের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন প্রত্যেকের খাবার তালিকায় ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার থাকা বাঞ্ছনীয়। দিনে একটি কমলা, আঙুর, লেবু বা বাতাবি লেবু খাওয়াই যথেষ্ট। সকল জামেই জন্য প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকে।  স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, কালো জাম, আম, পেপে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল।

মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার: মস্তিষ্ক, হূৎপিণ্ড ও চোখের সুস্বাস্থ্যে গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। স্যালমন, সারডিন, টোনা, হেরিং, রাঘববোয়াল মাছ এবং কাঁকড়া ও ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি রয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন এসব খাদ্য গ্রহণ করলে দৃষ্টিশক্তি ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই তা দারুণ কার্যকর হবে।

নিউজ লাইট ৭১