ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘাটতি মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভর

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 75

বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা অনুযায়ী যে পরিমাণ ভোজ্য তেল প্রয়োজন, উৎপাদনে ঘাটতি থাকে তার ৭০ শতাংশ। একইভাবে ডালের চাহিদার ৬০ শতাংশ এবং মসলায় ৩০-৩২ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বলে উঠে এসেছে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) প্রতিবেদনে।

ঘাটতি মেটাতে তাই আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে এগুলোর আমদানি নির্ভরতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প-তৃতীয়য় পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ নিয়ে এক কর্মশালায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রকল্পের পরিচালক খায়রুল আলম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে ভোজ্য তেলের চাহিদা ১০ দশমিক ৫১ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হচ্ছে ৩ দশমিক ৫২ লাখ টন।উল্লেখ্য, দেশের নাগরিকদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এখন ১৮ গ্রাম তেলের চাহিদা রয়েছে। আর ডালের চাহিদা ৪৫ গ্রাম। সে হিসেবে বছরে ২৬ দশমিক ২৮ লাখ টন ডালের চাহিদা থাকলেও দেশের উৎপাদন হচ্ছে ৯ দশমিক ৯১ লাখ টন। বছরে ৪০ দশমিক ৪ লাখ টন মসলার চাহিদা থাকলেও দেশে উৎপাদিত হয় ৩৯ দশমিক ৫৩ লাখ টন। কিন্তু ফসল সংরক্ষণের উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় সেখান থেকে ১০-১২ লাখ টন মসলা নষ্ট হয়। ফলে ৩০ শতাংশের মতো ঘাটতি থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিপুল ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ‘কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প’ হাতে নেয় ২০১৭ সালে। তবে এর মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর। ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সারা বছর ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। সেই সঙ্গে উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এসব ফসল উৎপাদন বাড়বে এবং তাতে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ঘাটতি মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভর

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা অনুযায়ী যে পরিমাণ ভোজ্য তেল প্রয়োজন, উৎপাদনে ঘাটতি থাকে তার ৭০ শতাংশ। একইভাবে ডালের চাহিদার ৬০ শতাংশ এবং মসলায় ৩০-৩২ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বলে উঠে এসেছে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) প্রতিবেদনে।

ঘাটতি মেটাতে তাই আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে এগুলোর আমদানি নির্ভরতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প-তৃতীয়য় পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ নিয়ে এক কর্মশালায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রকল্পের পরিচালক খায়রুল আলম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে ভোজ্য তেলের চাহিদা ১০ দশমিক ৫১ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হচ্ছে ৩ দশমিক ৫২ লাখ টন।উল্লেখ্য, দেশের নাগরিকদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এখন ১৮ গ্রাম তেলের চাহিদা রয়েছে। আর ডালের চাহিদা ৪৫ গ্রাম। সে হিসেবে বছরে ২৬ দশমিক ২৮ লাখ টন ডালের চাহিদা থাকলেও দেশের উৎপাদন হচ্ছে ৯ দশমিক ৯১ লাখ টন। বছরে ৪০ দশমিক ৪ লাখ টন মসলার চাহিদা থাকলেও দেশে উৎপাদিত হয় ৩৯ দশমিক ৫৩ লাখ টন। কিন্তু ফসল সংরক্ষণের উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় সেখান থেকে ১০-১২ লাখ টন মসলা নষ্ট হয়। ফলে ৩০ শতাংশের মতো ঘাটতি থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিপুল ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ‘কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প’ হাতে নেয় ২০১৭ সালে। তবে এর মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর। ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সারা বছর ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। সেই সঙ্গে উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এসব ফসল উৎপাদন বাড়বে এবং তাতে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।

নিউজ লাইট ৭১