স্ত্রীর মন পেতে রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে সুস্থতা প্রমাণ
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
- / 86
মাসের পর মাস কেটে গেলেও স্ত্রীর কাছাকাছি আসা হয়নি স্বামীর। আর তাই স্বামীকে শারীরিক সম্পর্কে অক্ষম বলেই ভেবে নিয়েছিলেন তরুণীও। অবশেষে স্ত্রীর মন পেতে রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে সুস্থতা প্রমাণ করলেন ওই তরুণ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে।
লকডাউনের আগেই ঠিক হয়েছিল বিয়ের। কিন্তু আচমকা করোনা পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার জোগাড়। তবে বিয়ে বাতিল করার কথা ভাবেনি দুই পরিবার। তাই ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার হাত এক হয়। গত ২৯ জুন ভোপালে বসে বিয়ের আসর। গাঁটছড়া বাঁধেন তরুণ-তরুণী।
বিয়ে হলেও দু’জনের দাম্পত্য জীবনে ছিল না উষ্ণতার ছোঁয়া। নববধূর দাবি, বিয়ের পর থেকে এক ঘরে থাকলেও স্বামী নাকি কোনওদিন ছুঁয়ে দেখেননি তাকে। অনেকবার স্বামীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। পরিবর্তে দিনের পর দিন বেড়েছে দূরত্ব।
একসময় স্বামীর যৌনক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন জাগে নববধূর মনে। বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের কথা ভাবেন। কারণ উল্লেখ করে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। দাবি করেন খোরপোষের। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।
স্ত্রীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ওই তরুণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই তরুণকে ডেকে পাঠায়। তরুণ পরিষ্কার জানান, তার যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কোনও শারীরিক সমস্যা নেই।
তরুণের দাবি আদৌ সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখতে পরীক্ষা করা হয়। শুক্রবার টেস্টের রিপোর্টে দেখা যায় তরুণের দাবিই সঠিক। তার কোনওরকম শারীরিক সমস্যা নেই।
তবে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনে কেন আপত্তি তরুণের? তিনি স্পষ্ট করে জানান, বিয়ের সময় স্ত্রীর পরিবারের অনেকেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তার স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত বলেই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। সে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রেখেছিলেন তিনি। তবে স্ত্রীর সঙ্গে এবার নিশ্চয়ই তার সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই আশা তরুণের।
এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল ভোপালে। তরুণীও আবার নতুন করে স্বামীর সঙ্গে প্রেমের জোয়ারে ভাসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিউজ লাইট ৭১