ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনবিআরকে ভেঙে ফেলার প্রস্তাব

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 90

৭১: করজাল সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আদায়ে গতি আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এই প্রস্তাবে রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব সম্প্রসারণ নামে পৃথক দুটি বিভাগ গঠনের কথাও বলা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিভাগ দু’টির দায়িত্বে থাকবেন আলাদা চেয়ারম্যান। তবে স্বার্থান্বেষী এনবিআর কর্মকর্তাদের বাধা পেরিয়ে সংস্কার প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ে অর্থনীতিবিদরা।

যদিও যে করেই হোক সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তারা।

এক দশক ধরে বড় প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাড়ছে দেশের অর্থনীতি। উন্নয়ন-অগ্রগতিতে প্রতিবছরই বাড়ছে বাজেটের আকার। তবে থেকে যাচ্ছে রাজস্ব আদায়ে বড়সড় ঘাটতি। ফলে টেকসই অর্থনীতির পূর্বশর্ত কর-জিডিপি অনুপাত ১৫ শতাংশ হওয়ার কথা থাকলেও তা আটকে আছে ‌১০ শতাংশের নিচেই।

এদিকে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কর-জিডিপি অনুপাত ২৪ দশমিক এক পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। বিশাল এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এনবিআরের বর্তমান কাঠামোতে সম্ভব হবে না তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দুভাগে ভাগ করতে অর্থমন্ত্রণালয়কে পরামর্শও দিয়েছে কমিশন।

কমিশন বলছে, এতে নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তাবনাকে যুগোপযোগী বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের। যদিও সরকারের সদিচ্ছা থাকলে যে কোন সংস্কার সম্ভব বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান।

এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটাতে এনবিআরের ভয়ানক আপত্তি রয়েছে। এবং যৌক্তিক কারণে নয় তাদের স্বার্থের কারণে। তারা দুইটাকে হাতে রাখতে চায়।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিধি-বিধান তৈরি ও তার আলোকে রাজস্ব আদায়ে সমস্ত শক্তি ব্যয় করলেও সংশ্লিষ্টদের দাবি, ব্যবসা ও করবান্ধব অর্থ-কাঠামো নিশ্চিত করতে না পারার বির্তক পিছু ছাড়েনি সংস্থাটির।

Tag :

শেয়ার করুন

এনবিআরকে ভেঙে ফেলার প্রস্তাব

আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

৭১: করজাল সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আদায়ে গতি আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এই প্রস্তাবে রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব সম্প্রসারণ নামে পৃথক দুটি বিভাগ গঠনের কথাও বলা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিভাগ দু’টির দায়িত্বে থাকবেন আলাদা চেয়ারম্যান। তবে স্বার্থান্বেষী এনবিআর কর্মকর্তাদের বাধা পেরিয়ে সংস্কার প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ে অর্থনীতিবিদরা।

যদিও যে করেই হোক সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তারা।

এক দশক ধরে বড় প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাড়ছে দেশের অর্থনীতি। উন্নয়ন-অগ্রগতিতে প্রতিবছরই বাড়ছে বাজেটের আকার। তবে থেকে যাচ্ছে রাজস্ব আদায়ে বড়সড় ঘাটতি। ফলে টেকসই অর্থনীতির পূর্বশর্ত কর-জিডিপি অনুপাত ১৫ শতাংশ হওয়ার কথা থাকলেও তা আটকে আছে ‌১০ শতাংশের নিচেই।

এদিকে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কর-জিডিপি অনুপাত ২৪ দশমিক এক পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। বিশাল এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এনবিআরের বর্তমান কাঠামোতে সম্ভব হবে না তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দুভাগে ভাগ করতে অর্থমন্ত্রণালয়কে পরামর্শও দিয়েছে কমিশন।

কমিশন বলছে, এতে নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তাবনাকে যুগোপযোগী বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের। যদিও সরকারের সদিচ্ছা থাকলে যে কোন সংস্কার সম্ভব বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান।

এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটাতে এনবিআরের ভয়ানক আপত্তি রয়েছে। এবং যৌক্তিক কারণে নয় তাদের স্বার্থের কারণে। তারা দুইটাকে হাতে রাখতে চায়।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিধি-বিধান তৈরি ও তার আলোকে রাজস্ব আদায়ে সমস্ত শক্তি ব্যয় করলেও সংশ্লিষ্টদের দাবি, ব্যবসা ও করবান্ধব অর্থ-কাঠামো নিশ্চিত করতে না পারার বির্তক পিছু ছাড়েনি সংস্থাটির।