জৌলুস হারাচ্ছে সারুলিয়া বাজার: রাজস্ব আদায় হলেও হয়নি অবকাঠামো উন্নয়ন
- আপডেট টাইম : ১২:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / 156
ক্রমেই জৌলুস হারাচ্ছে নগরীর ঐতিহ্যবাহী সারুলিয়া বাজার। রাজস্ব আদায় হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে না। প্রতি বৃহস্পতিবার এখানকার সাপ্তাহিক হাট ঐতিহ্য বহন করছে।
এখানে পরিকল্পিত কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নানা প্রতিবন্ধকতা এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই ঐতিহ্যবাহী সারুলিয়া বাজার রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ডেমরা থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নবসম্পৃক্ত ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে সারুলিয়া বাজার। ষাটের দশকে ছোট পরিসরে ১৭ শতাংশ জায়গা নিয়ে সারুলিয়া কাঁচাবাজার নামে যাত্রা শুরু করে এ বাজার। পরে বাজারটি কেন্দ্র করে এর আশপাশে ব্যক্তিমালিকানা জায়গায় ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট গড়ে ওঠে।
পরে সারুলিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কেনা সম্পত্তিতে বাজার মার্কেট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ব্যক্তিমালিকানা ছোট-বড় মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় চার বিঘা জায়গা নিয়ে সারুলিয়া বাজার পরিচালিত হচ্ছে। ইতোপূর্বে তেজগাঁও সার্কেল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইজারাদাররা এ বাজারের ডাক নিয়ে আসতেন। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে বাজারের ডাক আনতে হয়।
সারুলিয়া বাজারের উত্তর অংশে রয়েছে প্রধান মাছ ও কাঁচাবাজার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজ-রসুন, মশলা, আলু, শুঁটকি, গোশতের দোকান ও হার্ডওয়্যারসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ ব্যের অনেক দোকানপাট। দক্ষিণ অংশে গড়ে উঠেছে চাল-ডালের পাইকারি ও মুদি দোকানসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন ছোট-বড় মার্কেট। দক্ষিণ-পূর্ব অংশে মুরগি পট্টি ও কবুতরের দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে।
বাজারসংলগ্ন ডেমরা-শিমরাইল সড়কের অপর পারেও কাঁচাবাজার, ফলপট্টি, কামারপট্টিসহ বেশ কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। এখানে সকাল বিকাল দৈনন্দিন বেচাকেনা হয়। পাশাপাশি সাপ্তাহিক হাটের দিনে বেচাকেনা হয় সবচেয়ে বেশি। বাজারের চার দিকেই রয়েছে বেশ কয়েকটি চালের পাইকারি দোকান। তবে এসব দোকানের অবকাঠামো উন্নত নয়। আর ডেমরা থানা এলাকার উল্লেখযোগ্য চালের পাইকার রয়েছে এখানে।এ বাজারে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখানে কোনো গভীর বা অগভীর নলকূপ নেই। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পানির চাহিদা মেটাতে নানা সমস্যা হয়। এখানে গণশৌচাগার নেই বলে মানুষ যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে পরিবেশ দূষিত করছে। মাছ বাজারটি নোংরা পরিবেশে নিয়ে কোনো রকম থাকলেও কাঁচা বাজারের দোকানগুলো অপরিকল্পিত ও নিরাপত্তাহীন। টিনের চালা পর্যন্ত নেই। সামান্য বৃষ্টিতে সবার দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাজারে অপরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ লেগেই থাকে।