ঈদযাত্রায় মাস্ক ব্যবহারে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
- আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
- / 98
৭১: শনিবার ঈদুল আজহা, সে জন্য় অনেকে ফিরছেন নিজ এলাকার উদ্দেশে কেউবা কোরবানির পশুর হাটে। সব ক্ষেত্রেই বিশাল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে, বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও। করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে মাস্ক পরা কতটা জরুরি কমবেশি সবাই এখন সেটা জানেন। কিন্তু কোন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করলে বেশি কার্যকর হবে সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। কোন মাস্ক কতটা কার্যকর তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন-
১. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাল্ভ-যুক্ত এন-৯৫ মাস্ক পরা মোটেও নিরাপদ নয়। কারণে ভালভের ফিল্টার বাইরে থেকে ভাইরাস ঢোকা আটকে দেওয়ায় মাস্ক ব্যবহারকারীদের সুবিধা হলেও তা অন্যদের বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, ভাল্ভ-যুক্ত এন-৯৫ মাস্ক পরা ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসের বাহক হলে, তার নিঃশ্বাসের মধ্যে দিয়ে তা বেরিয়ে অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে।
২. ভাল্ভ নেই, এমন এন-৯৫ মাস্ক পরা যেতে পারে। এই ধরনের মাস্ক করোনাভাইরাসের পাশাপাশি বায়ুবাহিত ধূলিকণা ও সূক্ষ্ম জলকণা থেকে সুরক্ষা দেয়।
৩. এফএফপি (ফিল্টারিং ফেস পিস)-২, এফএফপি-১ এবং এফএফপি-৩ মাস্কও তুলনামূলক ভাবে বেশ সুরক্ষিত।
৪. এন-৯৫ বা এফএফপি জাতীয় মাস্ক তুলনামূলক ভাবে দামি হওয়ায়, তার বদলে অনেকেই সার্জিক্যাল মাস্ক পরেন। সার্জিক্যাল মাস্কের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশের বেশি হলেও তা এক বারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৫. সার্জিক্যাল মাস্ক ছাড়াও করোনা থেকে সুরক্ষায় কাপড়ের বিভিন্ন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা যায়। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কাপড়ের মাস্কে কতটা সুরক্ষিত থাকা যায়, তা শতাংশের হিসাবে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু একেবারে কোনও মাস্কের সুরক্ষা না থাকার থেকে বরং কাপড়ের মাস্ক পরা ভালো।
৬. মাস্কের বদলে গামছা, রুমাল বা ওড়না দিয়ে নাক-মুখ ঢাকেন। এটা একেবারেই সুরক্ষিত নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
যে ধরনের মাস্কই ব্যবহার করুন না কেন তা ব্যবহারের আগে-পরে কিছু নিয়ম মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-
১. যে কোনও ধরনের মাস্ক পরার আগে সাবান বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এর পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হাতে মাস্ক পরতে হবে।
২. সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কারের পর মাস্কটি যাতে ছেঁড়া বা ফাটা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩. মাস্ক পরার পর তা দিয়ে যেন সব সময় নাক-মুখ ঢাকা থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই মাস্ক পরে তা নাক বা থুতনির নীচে তা ঝুলিয়ে রাখেন। এটা করা একেবারেই উচিত নয়।
৪. বার বার মাস্কে হাত দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। মাস্কের সামনের অংশ স্পর্শ করা ক্ষতিকর। নিতান্তই যদি মাস্কের সামনে হাত দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন। মাস্ক স্পর্শ করার পরে ফের হাত পরিষ্কার করুন।
৫. নোংরা বা ভেজা মাস্ক যাতে কোনও ভাবেই ব্যবহার করতে না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যের ব্যবহৃত মাস্কে হাত দেবেন না।