লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরুল আমিন (৬০) নামের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও চারজন।

আহতদের উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল আমিনসহ আহত আরও দুইজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক নুরুল আমিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত অপর দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আহতরা হলেন, নিহত নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলু (৩১), মামুন (২৫), ফিরোজ (১৮) ও মেয়ে আছমা আক্তার (২৭)।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত এগারোটার দিকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ভাইসচেয়ারম্যান সড়কের চৌধুরীর চা দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

আহত বজলুর রহমান ভুলু জানান, স্থানীয় চৌধুরীর চা দোকানের সামনে একটি মাচায় বসে ওই এলাকার  কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিমের সাথে বিভিন্ন এলাকার অপরিচিত লোকজন গভীররাত পর্যন্ত আড্ডা ও নেশা করে আসছিল। এ নিয়ে দুইদিন আগে বজলুর রহমান ভুলু অপরিচিতদের পরিচয় জানতে চাইলে অভিযুক্তদের সাথে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে সোমবার রাতে চৌধুরীর চা দোকানে ভুলুর ভাই মামুন চা খেতে গেলে দোকানদার চৌধুরীর সাথে তার ভাই মামুনের তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম মিলে মামুনকে বেধড়ক মারপিট করে।  খবর পেয়ে বজুলর রহমান ভুলু, তার পিতা নুরুল আমিন ও বোন আছমা আক্তার এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। এসময় ভুলুর পিতা অন্ধ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরুল আমিনকে ঘটনাস্থলে পিটিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা

বজলুর রহমান ভুলু আরও জানান, অভিযুক্তদের করা মাদক ব্যবসা ও নেশা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়ে তার বাবাকে হত্যা সহ পরিবারের আরও চারজনকে আহত করেছে। এবিষয়ে মামলা করবেন জানান তিনি। 

এদিকে এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাত দেড়টার দিকে তোরাবগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা। 

কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে সেলিম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

নিউজ লাইট ৭১