ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দম ফেলার ফুরসত নেই

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 9

ছবি: ইন্টারনেট

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি সিলেট-চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন এক দিকের সূচনা, যেখানে দুইটি টেস্টের পর আসবে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত চলমান ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার (এফটিপি) আওতায় বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে একের পর এক ব্যস্ত সময়, যেখানে খেলার ব্যস্ততা এতটাই তীব্র হবে যে, ক্রিকেটাররা প্রায়ই বিশ্রাম নিতে পারবে না।

এফটিপি অনুযায়ী, এই দুই বছরে বাংলাদেশ দল মোট ১৬টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে, যার মধ্যে রয়েছে ১৮টি টেস্ট, ৩২টি ওয়ানডে এবং ৩২টি টি-টোয়েন্টি। এই সময়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ (টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি) হবে তিনটি, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ থাকবে পাঁচটি, এবং একটি সিরিজে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলার কথা। এসব সিরিজ ছাড়াও, আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ এবং ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরগুলোও রয়েছে।

এফটিপি অনুযায়ী, পাকিস্তান সফরের মে মাসের সিরিজটি পরিবর্তন হয়ে ৫ টি-টোয়েন্টির সিরিজে পরিণত হবে, এবং জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজটিও হবে ৩ টি-টোয়েন্টির। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত, ফিল সিমন্সের কোচিংয়ে বাংলাদেশ দলের জন্য টানা খেলার যে চাপ, সেটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান নাজমূল আবেদীন বলেন, “সামনে অনেক খেলা, যা ২০২৭ বিশ্বকাপের দিকে নজর রেখে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” তাঁর মতে, টানা খেলা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরল সুযোগ, যা দলের গভীরতা ও শক্তি বাড়ানোর পক্ষে কাজ করবে। বিশেষত, ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স দলের খেলা বাড়ানো হবে যাতে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় প্রস্তুত থাকতে পারেন।

বিসিবি জানিয়ে দিয়েছে, ক্রিকেটারদের চোটমুক্ত রাখার জন্য, তাদের বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর কৌশল গ্রহণ করা হবে। একে অপরকে সাহায্য করে, খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সুযোগ দেওয়া হবে যাতে তারা সর্বোচ্চ স্তরে প্রস্তুত থাকতে পারেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

দম ফেলার ফুরসত নেই

আপডেট টাইম : ০৮:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি সিলেট-চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন এক দিকের সূচনা, যেখানে দুইটি টেস্টের পর আসবে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত চলমান ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার (এফটিপি) আওতায় বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে একের পর এক ব্যস্ত সময়, যেখানে খেলার ব্যস্ততা এতটাই তীব্র হবে যে, ক্রিকেটাররা প্রায়ই বিশ্রাম নিতে পারবে না।

এফটিপি অনুযায়ী, এই দুই বছরে বাংলাদেশ দল মোট ১৬টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে, যার মধ্যে রয়েছে ১৮টি টেস্ট, ৩২টি ওয়ানডে এবং ৩২টি টি-টোয়েন্টি। এই সময়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ (টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি) হবে তিনটি, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ থাকবে পাঁচটি, এবং একটি সিরিজে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলার কথা। এসব সিরিজ ছাড়াও, আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ এবং ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরগুলোও রয়েছে।

এফটিপি অনুযায়ী, পাকিস্তান সফরের মে মাসের সিরিজটি পরিবর্তন হয়ে ৫ টি-টোয়েন্টির সিরিজে পরিণত হবে, এবং জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজটিও হবে ৩ টি-টোয়েন্টির। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত, ফিল সিমন্সের কোচিংয়ে বাংলাদেশ দলের জন্য টানা খেলার যে চাপ, সেটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান নাজমূল আবেদীন বলেন, “সামনে অনেক খেলা, যা ২০২৭ বিশ্বকাপের দিকে নজর রেখে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” তাঁর মতে, টানা খেলা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরল সুযোগ, যা দলের গভীরতা ও শক্তি বাড়ানোর পক্ষে কাজ করবে। বিশেষত, ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স দলের খেলা বাড়ানো হবে যাতে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় প্রস্তুত থাকতে পারেন।

বিসিবি জানিয়ে দিয়েছে, ক্রিকেটারদের চোটমুক্ত রাখার জন্য, তাদের বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর কৌশল গ্রহণ করা হবে। একে অপরকে সাহায্য করে, খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সুযোগ দেওয়া হবে যাতে তারা সর্বোচ্চ স্তরে প্রস্তুত থাকতে পারেন।

নিউজ লাইট ৭১