ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 17

ছবি: সংগৃহীত

বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে কাঁপতে শুরু করেছে হিমপ্রবন জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৬টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা নেই। হালকা কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। উত্তরের জেলা পর্যটনের অঞ্চল হওয়ায় প্রচুর পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখার সঙ্গে শীত উপভোগ করছেন।

স্থানীয় হানিফ আলী জানান, মনে হয় পৌষ মাস এসে পড়েছে। পৌষ মাসের মতোই কনকনে ঠান্ডা। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে। রাতে কম্বল কিংবা কাঁথা নিতে হয়।

কয়েকজন পর্যটক বলেন, ভালো ঠান্ডা লাগছে এ এলাকায়। আমরা বিভিন্ন জায়গা হতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে তেঁতুলিয়ায় এসেছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে ভোরে শীতও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। শুনেছি উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। তাই মনে হয়েছে।

পঞ্চগড়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, সামনে পৌষ মাস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

আপডেট টাইম : ১১:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে কাঁপতে শুরু করেছে হিমপ্রবন জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৬টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা নেই। হালকা কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। উত্তরের জেলা পর্যটনের অঞ্চল হওয়ায় প্রচুর পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখার সঙ্গে শীত উপভোগ করছেন।

স্থানীয় হানিফ আলী জানান, মনে হয় পৌষ মাস এসে পড়েছে। পৌষ মাসের মতোই কনকনে ঠান্ডা। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে। রাতে কম্বল কিংবা কাঁথা নিতে হয়।

কয়েকজন পর্যটক বলেন, ভালো ঠান্ডা লাগছে এ এলাকায়। আমরা বিভিন্ন জায়গা হতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে তেঁতুলিয়ায় এসেছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে ভোরে শীতও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। শুনেছি উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। তাই মনে হয়েছে।

পঞ্চগড়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, সামনে পৌষ মাস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।

নিউজ লাইট ৭১