ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণবাহিনী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 94

নিউজ লাইট ৭১: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অতি বিপ্লবীরা যারা একসময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেস্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তারা উচ্চ বিলাসীর কারণে দেশের বিরুদ্ধে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা শুরু করে। এ সময় তারা সিরাজ সিকদারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করার চেষ্টা করে। সে সময় কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী গঠন করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

শেখ সেলিম আরও বলেন, অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য সেদিন ব্যাংক ডাকাতি করে, পাটের গুদামে আগুন দেয়, থানা লুট করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আক্রমণ করে। সে সময় আওয়ামী লীগের সাতজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পিতভাবে এসব হত্যাকাণ্ড করা হয় যেন বঙ্গবন্ধু দেশ পুনঃগঠন করতে না পারেন।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তোমরাই অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাও, আবার মানবতার কথা বল। তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সঙ্গে জড়িত সে তো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত না তাকে ফেরত দিচ্ছো না কেন? তোমাদের এই দুই নম্বরি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মানতে পারি না। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, একটা তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে কারা কারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, জিয়া-মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে। খুনিরা বাইরে বসে এখনো যে ষড়যন্ত্র করছে না তার প্রমাণ কি?

তিনি বলেন, নূর হোসেন কানাডায়, রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় আশ্রয় নিয়ে আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বার বার বলার পরেও ফেরত দিচ্ছে না। তারা বলে আমাদের দেশের আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাজা দেয় না। ওই সব দেশের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা (বঙ্গবন্ধুর খুনিরা) তো আমার দেশের অপরাধ করে গেছে, তোমার দেশে তো কেউ অপরাধ করে নাই। তোমার দেশের কেউ যদি এই অপরাধ করতো তুমি কি করতে? শক্তি আছে বলে আইন ইচ্ছামত ব্যবহার করবে। আবার গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। এর যতো কিছুই করে নিজের স্বার্থ ছাড়া দুনিয়ার আর কিছু দেখে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, খুনিদের কিভাবে প্রশ্রয় দিলা। সেদিন শেখ রাসেল কি অপরাধ করেছিল, বঙ্গমাতা কি অপরাধ করেছিল, খুকি কি অপরাধ করেছিল তারা তো রাজনীতি করতো না। তাদের হত্যা করা হয়েছে তোমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছো। অতএব তাদের কাছে মানবতা শিখতে হবে না।

Tag :

শেয়ার করুন

গণবাহিনী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে

আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অতি বিপ্লবীরা যারা একসময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেস্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তারা উচ্চ বিলাসীর কারণে দেশের বিরুদ্ধে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা শুরু করে। এ সময় তারা সিরাজ সিকদারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করার চেষ্টা করে। সে সময় কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী গঠন করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

শেখ সেলিম আরও বলেন, অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য সেদিন ব্যাংক ডাকাতি করে, পাটের গুদামে আগুন দেয়, থানা লুট করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আক্রমণ করে। সে সময় আওয়ামী লীগের সাতজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পিতভাবে এসব হত্যাকাণ্ড করা হয় যেন বঙ্গবন্ধু দেশ পুনঃগঠন করতে না পারেন।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তোমরাই অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাও, আবার মানবতার কথা বল। তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সঙ্গে জড়িত সে তো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত না তাকে ফেরত দিচ্ছো না কেন? তোমাদের এই দুই নম্বরি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মানতে পারি না। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, একটা তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে কারা কারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, জিয়া-মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে। খুনিরা বাইরে বসে এখনো যে ষড়যন্ত্র করছে না তার প্রমাণ কি?

তিনি বলেন, নূর হোসেন কানাডায়, রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় আশ্রয় নিয়ে আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বার বার বলার পরেও ফেরত দিচ্ছে না। তারা বলে আমাদের দেশের আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাজা দেয় না। ওই সব দেশের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা (বঙ্গবন্ধুর খুনিরা) তো আমার দেশের অপরাধ করে গেছে, তোমার দেশে তো কেউ অপরাধ করে নাই। তোমার দেশের কেউ যদি এই অপরাধ করতো তুমি কি করতে? শক্তি আছে বলে আইন ইচ্ছামত ব্যবহার করবে। আবার গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। এর যতো কিছুই করে নিজের স্বার্থ ছাড়া দুনিয়ার আর কিছু দেখে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, খুনিদের কিভাবে প্রশ্রয় দিলা। সেদিন শেখ রাসেল কি অপরাধ করেছিল, বঙ্গমাতা কি অপরাধ করেছিল, খুকি কি অপরাধ করেছিল তারা তো রাজনীতি করতো না। তাদের হত্যা করা হয়েছে তোমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছো। অতএব তাদের কাছে মানবতা শিখতে হবে না।