ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / 19

পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: নিউজ লাইট ৭১

সাভারে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ নানা দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে প্রায় ২ ঘণ্টা যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সড়কটিতে চলাচলরতদের।

রোববার সকাল ১০টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় ডংলিয়ন কারখানার শ্রমিকরা। এতে করে সড়টির উভয়পাশে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বেশ কয়েকটি দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়। তারা আমাদের দাবি কোন ভাবেই মানতে রাজি নন। আমরা কারখানায় মোবাইল ব্যবহার করতে পারি না। এতে করে গ্রামে পরিবারের কেউ মারা গেলেও আমরা তৎক্ষণাৎ কোন খবর পাই না। এছাড়া আমাদের সামান্য ত্রুটি দেখলেই জোরপূর্বক রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এসব বন্ধের দাবি নিয়ে দাবি পেশ করলে কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের আশ্বাস না দিলে শ্রমিকরা কর্মরিবতি পালন করে। পরে কারখানা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তাই বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। বন্ধের নোটিশে লেখা রয়েছে, গতকাল ২৫ আগস্ট কারখানার শ্রমিকগণ কিছু অবৈধ দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ বন্ধ করে বেআইনি ধর্মধট আরম্ভ করে উশৃঙ্খল আচরণ করতে শুরু করে।

তাদের এ সকল দাবি সম্পর্কে ইতোপূর্বে তারা কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবে অবগত করে নাই।

কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বারবার শান্ত থাকতে অনুরোধ করার পরেও তারা কাজ বন্ধ রেখে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রদর্শন করেন এবং কারখানায় ভাংচুর শুরু করে। একপর্যায়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করে। পরবর্তীতে, তারা কারখানার প্রধান ফটকের ভেতর থেকে তালা দিয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের এমন আচরণে আহত কর্মকর্তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোও সম্ভব হয় নাই। কারখানা শ্রমিকদের এমন বেআইনি ধর্মঘট এবং উশৃঙ্খল আচরণের কারণে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী ২৬ আগস্ট সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

কারখানা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে শ্রমিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী মজুরি ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন। এব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আজ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। মূলত বিধি মোতাবেক ওভারটাইম, টিফিন বিল বাড়াতে হবে এসব দাবি তাদের। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছে। এখন শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

সাভারে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ নানা দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে প্রায় ২ ঘণ্টা যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সড়কটিতে চলাচলরতদের।

রোববার সকাল ১০টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় ডংলিয়ন কারখানার শ্রমিকরা। এতে করে সড়টির উভয়পাশে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বেশ কয়েকটি দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়। তারা আমাদের দাবি কোন ভাবেই মানতে রাজি নন। আমরা কারখানায় মোবাইল ব্যবহার করতে পারি না। এতে করে গ্রামে পরিবারের কেউ মারা গেলেও আমরা তৎক্ষণাৎ কোন খবর পাই না। এছাড়া আমাদের সামান্য ত্রুটি দেখলেই জোরপূর্বক রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এসব বন্ধের দাবি নিয়ে দাবি পেশ করলে কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের আশ্বাস না দিলে শ্রমিকরা কর্মরিবতি পালন করে। পরে কারখানা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তাই বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। বন্ধের নোটিশে লেখা রয়েছে, গতকাল ২৫ আগস্ট কারখানার শ্রমিকগণ কিছু অবৈধ দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ বন্ধ করে বেআইনি ধর্মধট আরম্ভ করে উশৃঙ্খল আচরণ করতে শুরু করে।

তাদের এ সকল দাবি সম্পর্কে ইতোপূর্বে তারা কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবে অবগত করে নাই।

কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বারবার শান্ত থাকতে অনুরোধ করার পরেও তারা কাজ বন্ধ রেখে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রদর্শন করেন এবং কারখানায় ভাংচুর শুরু করে। একপর্যায়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করে। পরবর্তীতে, তারা কারখানার প্রধান ফটকের ভেতর থেকে তালা দিয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের এমন আচরণে আহত কর্মকর্তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোও সম্ভব হয় নাই। কারখানা শ্রমিকদের এমন বেআইনি ধর্মঘট এবং উশৃঙ্খল আচরণের কারণে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী ২৬ আগস্ট সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

কারখানা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে শ্রমিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী মজুরি ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন। এব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আজ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। মূলত বিধি মোতাবেক ওভারটাইম, টিফিন বিল বাড়াতে হবে এসব দাবি তাদের। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছে। এখন শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।

নিউজ লাইট ৭১