বিএনপি-জামায়াতের লাশের রাজনীতিতেই মানুষ নিহত
- আপডেট টাইম : ০৭:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
- / 30
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখনকার কর্মসূচি বিএনপি-জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে হচ্ছে ও তাদের লাশের রাজনীতির কারণেই ছয় জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং কোটা আন্দোলন তাদের হাতে নেই।
বুধবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের মধ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত চাচ্ছিল দেশে লাশ তৈরি হোক এবং মঙ্গলবার তারা এই লাশগুলো তৈরি করেছে, ৬ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সারাদেশে যে নৈরাজ্যের অপচেষ্টা হয়েছে, এর প্রধান কারণ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার বাসে আগুন দেয়া হয়েছে, মোটরসাইকেল ভাঙচুর, মেট্রোরেলে হামলা হয়েছে। এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজ না। বিএনপি-জামায়াত ঢুকে এসব কর্মকাণ্ড করেছে। আন্দোলনকারীরা এখন তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা রাজাকারদের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না।’
‘ছাত্র-ছাত্রীরা না বুঝেই কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছে’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আগের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সরকার বাতিল করেছে। গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণ কোটাবিহীনভাবে হয়েছে।
আগে স্বাধীনতার পর থেকেই কোটা ছিল, স্বাধীনতার আগেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, নারী ও জেলা কোটা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল না, যেটি আমাদের সরকার পুনর্বহাল করেছিল। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আমাদের সরকার কোটা বাতিল করে। এরপর একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হাইকোর্টে গিয়েছিল। তখন হাইকোর্ট সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে কোটা পুনর্বহালের কথা বলে।
মন্ত্রী বলেন, এখানেই শেষ নয়, হাইকোর্টের এই রায় আবার সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের স্থিতাদেশ অনুযায়ী কোটা নাই। কোটার ভিত্তিতে চাকরি হবে না সেই পরিস্থিতিই বিরাজমান। সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা। এটি জানার পরও যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে, করছে, সেটি দুরভিসন্ধি। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে সম্পৃক্ত করছে। এরপর সেখানে বিএনপি-জামায়াত ঢুকে কোটা আন্দোলনে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে।
ঘটনাপ্রবাহ নির্দেশ করে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার সমাবেশ করেও কোনো কর্মসূচি দেয়নি, রাত সাড়ে বারটায় তারা গায়েবানা জানাজা ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে, তার মানে লাশের রাজনীতি। এর মানে, এই কর্মসূচি কোটা আন্দোলনকারীদের নয়। এই কর্মসূচি বিএনপি-জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে দেয়া হয়েছে। যারা কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা বিএনপি-জামায়াতের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। মানুষের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেবো না।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবং যখনই সামরিক জান্তা বা সেনাসমর্থিত সরকার গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরিয়েছে, তখনই বারবার গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিউজ লাইট ৭১