ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত ১৯৪৮ সালেই নিয়েছিলেন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / 19

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার অধিকার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা কেড়ে নিয়েছিল সেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওদের সঙ্গে আর থাকবো না।

১৯৬২ সালেও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি যে সশস্ত্র বিপ্লবের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তখন তা পাকিস্তান বুঝতে পারেনি। এরপরও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা পেশ করেন, তখন পাকিস্তানিরা উত্থাপনই করতে দেবে না। তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। এয়ারপোর্টে প্রথম ছয় দফার তথ্য দেন। এরপর প্রেস কনফারেন্স করেন। আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করে, সেটা পাস করান। ৫৩ দিনে ৫২টা সভা করেছিলেন। ছয় দফার মধ্যে একদফা ছিল স্বাধীনতা।

জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং রক্ষক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। সংগ্রামের পথ বেয়ে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছে মাতৃভাষায় কথা বলার এবং আমাদের স্বাধীনতার অধিকার।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক ৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। যা জাতির পিতাকে হত্যার পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ভাষণটা বাঁচাতে গিয়ে বহু লোককে জীবন দিতে হয়েছে। বিশ্বে যত ভাষণ রয়েছে ৭ই মার্চের মতো এতটা প্রেরণা যোগায়নি।

কত দিন কত ঘণ্টা সাতই মার্চের ভাষণ বাজানো হয়েছে, এর কোনো হিসেব নেই। এটিও একটি অনন্য বিষয় বলে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান। জাতীয় দিবসগুলো সম্পর্কে সবার পরিষ্কার ধারণাও রাখতে বলেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মানুষ যেন ইতিহাস ভুলে না যায়। দেশের উন্নয়ন ও সফলতার পেছনে ইতিহাসই পথ দেখায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে, জাতি হিসেবে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। এই বাস্তব সত্য স্বীকার করতেই হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত ১৯৪৮ সালেই নিয়েছিলেন

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার অধিকার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা কেড়ে নিয়েছিল সেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওদের সঙ্গে আর থাকবো না।

১৯৬২ সালেও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি যে সশস্ত্র বিপ্লবের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তখন তা পাকিস্তান বুঝতে পারেনি। এরপরও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা পেশ করেন, তখন পাকিস্তানিরা উত্থাপনই করতে দেবে না। তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। এয়ারপোর্টে প্রথম ছয় দফার তথ্য দেন। এরপর প্রেস কনফারেন্স করেন। আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করে, সেটা পাস করান। ৫৩ দিনে ৫২টা সভা করেছিলেন। ছয় দফার মধ্যে একদফা ছিল স্বাধীনতা।

জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং রক্ষক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। সংগ্রামের পথ বেয়ে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছে মাতৃভাষায় কথা বলার এবং আমাদের স্বাধীনতার অধিকার।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক ৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। যা জাতির পিতাকে হত্যার পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ভাষণটা বাঁচাতে গিয়ে বহু লোককে জীবন দিতে হয়েছে। বিশ্বে যত ভাষণ রয়েছে ৭ই মার্চের মতো এতটা প্রেরণা যোগায়নি।

কত দিন কত ঘণ্টা সাতই মার্চের ভাষণ বাজানো হয়েছে, এর কোনো হিসেব নেই। এটিও একটি অনন্য বিষয় বলে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান। জাতীয় দিবসগুলো সম্পর্কে সবার পরিষ্কার ধারণাও রাখতে বলেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মানুষ যেন ইতিহাস ভুলে না যায়। দেশের উন্নয়ন ও সফলতার পেছনে ইতিহাসই পথ দেখায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে, জাতি হিসেবে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। এই বাস্তব সত্য স্বীকার করতেই হবে।

নিউজ লাইট ৭১