ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০
  • / 105

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তা নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই।

শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘লোগো’ উন্মোচনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে এসব বলেন তিনি।

৪৮ বছর আগের এই দিনে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়ন করা হয় ক্ষণগণনার শুরুর আয়োজনে।

এসময় আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সেই দিনের ঘটনাপ্রবাহে ফিরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বিজয়ের আলোকবর্তিতা তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই।

তিনি বলেন, সেদিনটিতে আমরা হয়ত বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল, আমরা এমন অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আমার মনে পড়ে মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরা পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনেছিলাম।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, আমার মনে পড়ে, তিনি কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলির কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। তারপর আমরা তাকে পাই। তিনি এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি’। তারই উত্তর (বঙ্গবন্ধু) দিয়েছিলেন এই ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কবি গুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি মানুষ আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমার জীবন থেকে চলে গেছে, সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন আমাদের দেশের মানুষের উপর ছায়া ফেলতে না পারে। আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, চলুন আজকের দিনে আমরা সেই প্রত্যয় নিই যে, এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

পরে ‘বিমান এসে অবতরণ করে রানওয়েতে, খুলে যায় বিমানের দরজা। বঙ্গবন্ধু স্বদেশের মাটিতে পর্দাপণ করেন।’ এমন রূপক মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে একুশবার তোপধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

Tag :

শেয়ার করুন

মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই

আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তা নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই।

শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘লোগো’ উন্মোচনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে এসব বলেন তিনি।

৪৮ বছর আগের এই দিনে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়ন করা হয় ক্ষণগণনার শুরুর আয়োজনে।

এসময় আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সেই দিনের ঘটনাপ্রবাহে ফিরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বিজয়ের আলোকবর্তিতা তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই।

তিনি বলেন, সেদিনটিতে আমরা হয়ত বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল, আমরা এমন অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আমার মনে পড়ে মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরা পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনেছিলাম।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, আমার মনে পড়ে, তিনি কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলির কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। তারপর আমরা তাকে পাই। তিনি এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি’। তারই উত্তর (বঙ্গবন্ধু) দিয়েছিলেন এই ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কবি গুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি মানুষ আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমার জীবন থেকে চলে গেছে, সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন আমাদের দেশের মানুষের উপর ছায়া ফেলতে না পারে। আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, চলুন আজকের দিনে আমরা সেই প্রত্যয় নিই যে, এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

পরে ‘বিমান এসে অবতরণ করে রানওয়েতে, খুলে যায় বিমানের দরজা। বঙ্গবন্ধু স্বদেশের মাটিতে পর্দাপণ করেন।’ এমন রূপক মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে একুশবার তোপধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।