মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নানা অভিযোগ শোনার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন
- আপডেট টাইম : ০৯:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
- / 122
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট : রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে মাসব্যাপী ‘২৫তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০’। চতুর্থ দিনে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অনেক দর্শনার্থী আসে বাণিজ্য মেলায়। তবে অনেক স্টল এখনো গড়ে না ওঠায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। ছবিটি গতকাল তোলা-এম খোকন সিকদার
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবছর বিভিন্ন নকল পণ্যের সাথে সাথে অনেক জিনিসের দাম অতিরিক্ত রাখা হয়। বিশেষ করে মেলায় খাবারের দোকানে খাবারের দামের চেয়ে সালাতের দাম বেশি রাখা হয়।
এমন অভিযোগ প্রতিবছর মেলার দর্শনার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়। বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের যাতে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হতে না হয় সেজন্য রয়েছে প্রতিকারের ব্যবস্থা।
মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নানা অভিযোগ শোনার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। মেলায় এসে আপনি অথবা আপনার পরিচিত যে কেউ প্রতারণার শিকার হয়ে থাকলে এখানে এসে অভিযোগ দিতে পারবেন।
মেলায় সাধারণত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেয়াদ উত্তীর্ণ, পচা-বাসি খাবার বিক্রয়, কিংবা ভেজালপণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকালে বা দাম বেশি নিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা বলছেন, বাণিজ্য মেলার কার্যালয়ের পাশেই তাদের স্টলে অভিযোগ করলে সাথে সাথে প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে অবশ্যই অভিযোগ প্রমাণিত হতে হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রিয়াদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর বাণিজ্য মেলায় তাদের কাছে নানা ধরনের ব্যাপক অভিযোগ আসে। এর মধ্যে নকল পণ্য, দাম বেশি রাখাসহ নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগ অন্যতম।
তিনি বলেন, এবার তারা বাণিজ্য মেলায় কাজ করছেন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি উদ্যোগে। যে কেউ প্রতারিত হলে তাদের স্টলে এসে অভিযোগ করতে অনুরোধ করেন। যেকোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলেই রয়েছে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।
অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত ও জরিমানা আরোপ করা হলে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ধারা ৭৬(৪) অনুযায়ী আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগকারীকে প্রদান করা হবে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ধারা ৬০ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আইনের অধীন অভিযোগ দায়ের করতে হবে। অন্যথায় উক্ত অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ধারা ৭৬(১) অনুযায়ী, “যেকোনো ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকারবিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
দায়েরকৃত অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েব সাইট ইত্যাদি মাধ্যমেও অভিযোগ দায়ের করা যাবে। অভিযোগের সাথে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রসিদ অথবা যাবতীয় প্রমাণাদি সংযুক্ত করতে হবে।
অভিযোগকারী তার পূর্ণাঙ্গ নাম ও ঠিকানা, পিতা ও মাতার নাম, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা অবশ্যই উল্লেখ করবেন।