ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
  • / 31

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য রয়েছে একটি ভূমি কার্যালয়। জনদুর্ভোগ লাঘব ও সেবার মানোন্নয়নে ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে ওই কার্যালয়ে নেই ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার)। যার কারণে জনদুর্ভোগ লাঘব তো দূরের কথা, মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

সম্প্রতি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়টি খোলা দেখা গেলেও ভূমি সহকারী কর্মকর্তার চেয়ারটি ছিল ফাঁকা। তবে তার পাশের চেয়ারে বসা ছিল দুইজন ব্যক্তি। তারা এই অফিসের চাকুরীজীবি না হলেও নিয়মিত এসে জনসাধারণের সেবাদানের চেষ্টা করেন। এসময় ডজন খানেক মানুষের জটলা ছিল। সবাই এসেছেন সেবা নিতে। কিন্তু ওই কর্মকর্তা না থাকায় অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

জানা যায়, সম্পন্ন ভূমি সেবাকে জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছানোর জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মানুষ যাতে ভোগান্তির শিকার না হয়, ভূমি অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারে এই মহোতী উদ্যোগ যেন ভেস্তে যেতে বসেছে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে। এখানে এ.কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম নামের একজন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব আছেন। কিন্তু গত ১১ মে থেকে এ পর্যন্ত অনুপস্থিত তিনি।

এরফলে বনগ্রাম ইউনিয়নের ১২ টি গ্রামের মানুষ নানা ধরনের সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন বাড়ি। এসব জনগণ কেউ আসেন ভূমি উন্নয়ন কর দিতে। কেউ কেউ আসেন লীজ নবায়নসহ পিটিশন মামলা, মিসকেস ও জমি সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ করতে। কিন্তু এইসব সেবা নিতে প্রায় একমাস ধরে দিনের পর দিন স্থানীয়রা সেবা বঞ্চিত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজাস্ব, অন্যদিকে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তিসহ বেড়েছে নানা সমস্যা। এতে করে চরম ক্ষুব্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে তাদের।

সাদুল্লাপুরের জয়েনপুর গ্রাম থেকে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বলেন, আমি একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি। এই জায়গাটি খারিজ করতে দিয়েছি। প্রায় দেড়মাস ঘুরেও এখনো কাজ হাতে পাইনি। যার কারনে জমির দলিল সম্পাদন করতে পারছিনা। ওই ঘরটির কাজও হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এ.কে মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সাদুল্লাপুর উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) তাইফুর রহমান জানান, বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে এ.কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম দায়িত্বে আছেন। তিনি অসুস্থজনিত কারণে কর্মস্থলে আসছেন না। এ বিষয়ে তাকে চিঠি দেওয়াসহ সংশ্লিষ্টকে জানানো হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে

আপডেট টাইম : ০৫:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য রয়েছে একটি ভূমি কার্যালয়। জনদুর্ভোগ লাঘব ও সেবার মানোন্নয়নে ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে ওই কার্যালয়ে নেই ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার)। যার কারণে জনদুর্ভোগ লাঘব তো দূরের কথা, মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

সম্প্রতি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়টি খোলা দেখা গেলেও ভূমি সহকারী কর্মকর্তার চেয়ারটি ছিল ফাঁকা। তবে তার পাশের চেয়ারে বসা ছিল দুইজন ব্যক্তি। তারা এই অফিসের চাকুরীজীবি না হলেও নিয়মিত এসে জনসাধারণের সেবাদানের চেষ্টা করেন। এসময় ডজন খানেক মানুষের জটলা ছিল। সবাই এসেছেন সেবা নিতে। কিন্তু ওই কর্মকর্তা না থাকায় অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

জানা যায়, সম্পন্ন ভূমি সেবাকে জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছানোর জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মানুষ যাতে ভোগান্তির শিকার না হয়, ভূমি অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারে এই মহোতী উদ্যোগ যেন ভেস্তে যেতে বসেছে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে। এখানে এ.কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম নামের একজন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব আছেন। কিন্তু গত ১১ মে থেকে এ পর্যন্ত অনুপস্থিত তিনি।

এরফলে বনগ্রাম ইউনিয়নের ১২ টি গ্রামের মানুষ নানা ধরনের সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন বাড়ি। এসব জনগণ কেউ আসেন ভূমি উন্নয়ন কর দিতে। কেউ কেউ আসেন লীজ নবায়নসহ পিটিশন মামলা, মিসকেস ও জমি সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ করতে। কিন্তু এইসব সেবা নিতে প্রায় একমাস ধরে দিনের পর দিন স্থানীয়রা সেবা বঞ্চিত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজাস্ব, অন্যদিকে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তিসহ বেড়েছে নানা সমস্যা। এতে করে চরম ক্ষুব্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে তাদের।

সাদুল্লাপুরের জয়েনপুর গ্রাম থেকে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বলেন, আমি একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি। এই জায়গাটি খারিজ করতে দিয়েছি। প্রায় দেড়মাস ঘুরেও এখনো কাজ হাতে পাইনি। যার কারনে জমির দলিল সম্পাদন করতে পারছিনা। ওই ঘরটির কাজও হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এ.কে মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সাদুল্লাপুর উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) তাইফুর রহমান জানান, বনগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে এ.কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম দায়িত্বে আছেন। তিনি অসুস্থজনিত কারণে কর্মস্থলে আসছেন না। এ বিষয়ে তাকে চিঠি দেওয়াসহ সংশ্লিষ্টকে জানানো হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১