পুতিন ভাষণে যা বললেন
- আপডেট টাইম : ০২:২২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / 26
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক টেলিভিশন ভাষণে পূর্ব-ইউক্রেনের দুটি রুশ বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
সোমবার দেয়া তার এ ভাষণকে ‘ঐতিহাসিক’ বলা যেতে পারে। কারণ, ভাষণটি একটি নতুন ও প্রাণঘাতি যুদ্ধের আশঙ্কা আরও উসকে দিয়েছে।
ওই টেলিভিশন ভাষণে পূর্ব-ইউক্রেনের দোনেতস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন পুতিন।
তিনি বলেন, ‘আমি এ সিদ্ধান্তগ্রহণকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করি- যা অনেক আগেই নেয়া উচিৎ ছিল- দ্রুততর সময়ের মধ্যে দোনেতস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্বীকৃতি।’
ইউক্রেন ও ন্যাটো প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেয়, তা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হবে সরাসরি হুমকি।
ভাষণে পুতিন বলেন, আধুনিক ইউক্রেন রাশিয়ার তৈরি, বিশেষ করে বলশেভিক কমিউনিস্ট রাশিয়ার। ১৯১৭ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
ভাষণে বলশেভিক নীতির কারণে সোভিয়েত ইউক্রেনের উত্থান হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পুতিন। তিনি ‘ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের ইউক্রেন’ বলে বর্ণনা করেন।
পুতিন বলেন, ‘তিনি (লেনিন) প্রতিষ্ঠাতা ও স্থপতি। আর্কাইভের নথি থেকে এটাই পরিষ্কার হয়।’
ভাষণের একটি বড় অংশ জুড়ে ২০০৮ সালে ন্যাটো ইউক্রেন ও জর্জিয়াকে সদস্য পদ দেয়ার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার সমালোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই ইউক্রেনকে জোটে নেয়ার বিষয়ে সন্দিহান।
ভাষণে রাশিয়ার ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সমালোচনা করেন পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলোর রুশ নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের আবারও ব্ল্যাকমেইল করতে চাচ্ছে। তারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিচ্ছে।’
এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে দৃঢ় ও সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে বলে তিনি মনে করেন। সূত্র: আল জাজিরা
নিউজ লাইট ৭১