ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত টিকার এসএমএস দেওয়ার নামে প্রতারণা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

করোনার টিকার নিবন্ধন করা ব্যক্তিদের দ্রুত এসএমএস পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ​অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব জানিয়েছে, চক্রটি মূলত বিদেশগামীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তারা দুই শতাধিক বিদেশগামী ব্যক্তির কাছ থেকে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নুরুল হক (৪৭), মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মো. ইমরান হোসেন (২৩) ও মো. দুলাল মিয়া (৩৭)।

রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, কিছু প্রতারক রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে বিদেশগামী টিকা প্রার্থীদের দ্রুত এসএমএস প্রদানের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এর ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটি প্রত্যেকের কাছ থেকে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। প্রায় দুইশ জনের সঙ্গে তারা এভাবে প্রতারণা করেছে।

তিনি বলেন, নুরুল হক এ চক্রের হোতা। সাইফুল এবং ইমরান হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করতেন এবং টিকা প্রত্যাশীদের দ্রুত এসএমএস পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নুরুল হকের কাছে নিয়ে যেতেন। নুরুল হক টিকার এসএমএস নিয়ে দর কষাকষি করতেন। টাকার পরিমাণ নিয়ে বোঝাপড়া হয়ে গেলে তাকে দুলালের কাছে নেওয়া হত। টাকার অঙ্কের উপর নির্ভর করে কত দিনের মধ্যে এসএমএস পাওয়া যাবে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করতেন দুলাল।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, চক্রটি রাজধানীর মুগদা, শাহবাগ, রমনা, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, মহাখালী ইত্যাদি এলাকায় সক্রিয় ছিল। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এসএমএস এর মাধ্যমেও প্রচারণা চালাত।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চক্রটি দ্রুততম সময়ে টিকাদানের এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিলেও কেউ কেউ স্বাভাবিক নিয়মেই এসএমএস পেয়েছেন আবার কেউবা প্রতারিত হয়েছেন।

র‍্যাব পরিচালক বলেন, বিদেশগামী ব্যক্তিদের করোনার টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। অনলাইনে ফরম পূরণ করলে কেউ স্বাভাবিক নিয়মে, আবার কেউ উৎকোচ দেওয়ার মাধ্যমে এসএমএস পেতেন। স্বাভাবিক নিয়মে এসএমএস পেলে প্রতারকেরা তাদের জন্য এসএমএস গেছে বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব পরিচালক।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

দ্রুত টিকার এসএমএস দেওয়ার নামে প্রতারণা

আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনার টিকার নিবন্ধন করা ব্যক্তিদের দ্রুত এসএমএস পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ​অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব জানিয়েছে, চক্রটি মূলত বিদেশগামীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তারা দুই শতাধিক বিদেশগামী ব্যক্তির কাছ থেকে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নুরুল হক (৪৭), মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মো. ইমরান হোসেন (২৩) ও মো. দুলাল মিয়া (৩৭)।

রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, কিছু প্রতারক রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে বিদেশগামী টিকা প্রার্থীদের দ্রুত এসএমএস প্রদানের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এর ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটি প্রত্যেকের কাছ থেকে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। প্রায় দুইশ জনের সঙ্গে তারা এভাবে প্রতারণা করেছে।

তিনি বলেন, নুরুল হক এ চক্রের হোতা। সাইফুল এবং ইমরান হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করতেন এবং টিকা প্রত্যাশীদের দ্রুত এসএমএস পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নুরুল হকের কাছে নিয়ে যেতেন। নুরুল হক টিকার এসএমএস নিয়ে দর কষাকষি করতেন। টাকার পরিমাণ নিয়ে বোঝাপড়া হয়ে গেলে তাকে দুলালের কাছে নেওয়া হত। টাকার অঙ্কের উপর নির্ভর করে কত দিনের মধ্যে এসএমএস পাওয়া যাবে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করতেন দুলাল।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, চক্রটি রাজধানীর মুগদা, শাহবাগ, রমনা, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, মহাখালী ইত্যাদি এলাকায় সক্রিয় ছিল। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এসএমএস এর মাধ্যমেও প্রচারণা চালাত।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চক্রটি দ্রুততম সময়ে টিকাদানের এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিলেও কেউ কেউ স্বাভাবিক নিয়মেই এসএমএস পেয়েছেন আবার কেউবা প্রতারিত হয়েছেন।

র‍্যাব পরিচালক বলেন, বিদেশগামী ব্যক্তিদের করোনার টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। অনলাইনে ফরম পূরণ করলে কেউ স্বাভাবিক নিয়মে, আবার কেউ উৎকোচ দেওয়ার মাধ্যমে এসএমএস পেতেন। স্বাভাবিক নিয়মে এসএমএস পেলে প্রতারকেরা তাদের জন্য এসএমএস গেছে বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব পরিচালক।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button