ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নয়া সংস্কৃতিতে রাজস্ব আদায়

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / 136

নিউজ লাইট ৭১-প্রতি করবর্ষে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলা রাজস্ব আদায়ের সংস্কৃতিতে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। করদাতাদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এই মেলা। এবার মেলায় গিয়ে কর প্রদান, রিটার্ন দাখিলসহ রাজস্ব আদায়সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। এ জন্য প্রতি করবর্ষে আয়কর মেলায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। কর প্রদান, রিটার্ন দাখিল এবং রাজস্বসংক্রান্ত সেবা নিতে আসা মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আয়কর মেলা করদাতাদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিবছর মেলায় এসে কর প্রদানকারীর সংখ্যা বাড়ছে। সামনেরবার আয়কর মেলার পরিধি আরো বাড়ানো হবে। ধীরে ধীরে আয়কর মেলায় ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের মেলায় নতুন আকর্ষণ ছিল মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা। এ ছাড়া ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা রকেট, নগদ, বিকাশ, ইউপে শিওরক্যাশ, ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে তাদের আয়কর জমা দিতে পেরেছেন। আশা করছি, আগামীতে এ বিষয়ে আরো নতুন নতুন উদ্যোগ থাকবে।’

২০১০ সালে এনবিআর প্রথমবার আয়কর মেলার আয়োজন করে। প্রথমবারের আয়কর মেলায় ৬০ হাজার ৫১২ জন মানুষ সেবা নিতে আসেন। প্রতিবছরই আয়কর মেলায় আসা সাধারণ মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১১ সালে আয়কর মেলায় সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে ৭৫ হাজার ১২০ জন হয়। এর পরের বছর এ সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে লাখে পৌঁছায়। ২০১২ সালে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৭ জন, ২০১৩ সালে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ১৪৫ জন, ২০১৪ সালে ছয় লাখ ৪৯ হাজার ১৮৫ জন, ২০১৫ সালে সাত লাখ ৫৭ হাজার ৭৫৪ জন, ২০১৬ সালে ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৩ জন সেবা গ্রহণ করেন। গত বছর ২০১৮ সাল এবং তার আগের বছর ২০১৭ সালে আয়কর মেলার বিভিন্ন তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছর আয়কর মেলায় সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬, যা তার আগেরবারের তুলনায় ৩৯.৯০ শতাংশ বেশি। রিটার্ন জমা হয় চার লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয় ৪৫.৩৩ শতাংশ।

এবারের আয়কর মেলায় সারা দেশে মোট সাত দিনে সেবা গ্রহণকারী ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ জনের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেছে ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৯৫ জন।

এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, ‘দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারে সাধারণ মানুষকে কর প্রদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আয়কর মেলা বড় একটি পদক্ষেপ। মেলায় করদাতারা এখনো নিজেদের উদ্যোগেই আসেন। কারণ আয়কর মেলায় আন্তরিক পরিবেশে কর প্রদানের সুযোগ পাওয়া যায়। এখানে এনবিআর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করেন।’

Tag :

শেয়ার করুন

নয়া সংস্কৃতিতে রাজস্ব আদায়

আপডেট টাইম : ০৮:৪৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১-প্রতি করবর্ষে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলা রাজস্ব আদায়ের সংস্কৃতিতে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। করদাতাদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এই মেলা। এবার মেলায় গিয়ে কর প্রদান, রিটার্ন দাখিলসহ রাজস্ব আদায়সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। এ জন্য প্রতি করবর্ষে আয়কর মেলায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। কর প্রদান, রিটার্ন দাখিল এবং রাজস্বসংক্রান্ত সেবা নিতে আসা মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আয়কর মেলা করদাতাদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিবছর মেলায় এসে কর প্রদানকারীর সংখ্যা বাড়ছে। সামনেরবার আয়কর মেলার পরিধি আরো বাড়ানো হবে। ধীরে ধীরে আয়কর মেলায় ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের মেলায় নতুন আকর্ষণ ছিল মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা। এ ছাড়া ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা রকেট, নগদ, বিকাশ, ইউপে শিওরক্যাশ, ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে তাদের আয়কর জমা দিতে পেরেছেন। আশা করছি, আগামীতে এ বিষয়ে আরো নতুন নতুন উদ্যোগ থাকবে।’

২০১০ সালে এনবিআর প্রথমবার আয়কর মেলার আয়োজন করে। প্রথমবারের আয়কর মেলায় ৬০ হাজার ৫১২ জন মানুষ সেবা নিতে আসেন। প্রতিবছরই আয়কর মেলায় আসা সাধারণ মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১১ সালে আয়কর মেলায় সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে ৭৫ হাজার ১২০ জন হয়। এর পরের বছর এ সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে লাখে পৌঁছায়। ২০১২ সালে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৭ জন, ২০১৩ সালে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ১৪৫ জন, ২০১৪ সালে ছয় লাখ ৪৯ হাজার ১৮৫ জন, ২০১৫ সালে সাত লাখ ৫৭ হাজার ৭৫৪ জন, ২০১৬ সালে ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৩ জন সেবা গ্রহণ করেন। গত বছর ২০১৮ সাল এবং তার আগের বছর ২০১৭ সালে আয়কর মেলার বিভিন্ন তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছর আয়কর মেলায় সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬, যা তার আগেরবারের তুলনায় ৩৯.৯০ শতাংশ বেশি। রিটার্ন জমা হয় চার লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয় ৪৫.৩৩ শতাংশ।

এবারের আয়কর মেলায় সারা দেশে মোট সাত দিনে সেবা গ্রহণকারী ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ জনের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেছে ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৯৫ জন।

এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, ‘দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারে সাধারণ মানুষকে কর প্রদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আয়কর মেলা বড় একটি পদক্ষেপ। মেলায় করদাতারা এখনো নিজেদের উদ্যোগেই আসেন। কারণ আয়কর মেলায় আন্তরিক পরিবেশে কর প্রদানের সুযোগ পাওয়া যায়। এখানে এনবিআর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করেন।’